Popular Post

Archive for 2015

আপনার হৃদয় কি ভারাক্রান্ত?

By : Maruf Al Berunee
আপনার হৃদয় কি ভারাক্রান্ত? কষ্টে-যন্ত্রণায়, অপ্রাপ্তি-অশান্তি, শঙ্কায়-অস্থিরতায় কাটাচ্ছেন? একটা ব্যাপার জানেন? পৃথিবীতে এই মূহুর্তে কোটি কোটি মানুষ আপনার চেয়েও ভয়ংকর কষ্টে সময় কাটাচ্ছে। আপনি কি ভেবে দেখেছেন, আপনার এই মূহুর্তটা কিন্তু বেশিদিন থাকবে না!
কষ্টের একটা সময় থাকে। প্রথম ধাক্কাটা কিছুটা তীব্র হয়। কিছু বিষয়ে আবার পরবর্তীতে কষ্টটায় দীর্ঘ সময় ধরে ভুগতে হয়। সেগুলো যেমনই হোক, মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যায়। সন্তানকে কবরে রেখে এসে পিতাকে বের হতে হয় জীবিকার সন্ধানে। সন্তান আর স্বামী মরে যাওয়ার পরেও একজন নারী ফিরে এসে রান্নার যোগাড় করেন অন্তত খেয়ে বেঁচে থাকতে। জীবন এমনই। আপনি যে কষ্টটিকে সহ্যের অতিরিক্ত ভাবছেন, যে ক্ষতিটাকে কল্পনাতীত ভেবে আপনার বুক ফেটে যাচ্ছে -- সেটুকুকেই আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার প্রেরণা পেতেন আরো অসংখ্য লোক। তারা সেটুকুও পান না। 
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার ইবাদাতের জন্য। আপনি না চাইলেও আপনাকে তিনি উপলব্ধি করিয়েই দেবেন যে আপনি এই পৃথিবীর কোনো কিছুরই উপরে ক্ষমতা রাখেন না, আপনি অসহায়। এই উপলব্ধিটা একটি পরম নিয়ামাত যখন আপনি বুঝবেন আল্লাহ ছাড়া কেউ নেই অভিভাবক। 
সকল ক্ষতিই মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারে। মানুষ পরম অভিযোজন ক্ষমতার একটি প্রাণী। যাকে ছাড়া/যা ছাড়া জীবন কল্পনাও করতে পারেননি, তার বিদায়ের পরে আপনি দিব্যি খাবেন, ঘুমাবেন, হাসবেন। কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। দুঃখ নয়, গ্লানি হয়। এমনকি আনন্দের সময়ও নয়। দুনিয়া নিজেই অস্থায়ী। এর ভেতরের প্রতিটি প্রাণী, প্রতিটি সত্ত্বা, প্রতিটি কণা অস্থায়ী, নশ্বর। এমন কিছুর প্রতি কীসের এত আকাঙ্ক্ষা, এত স্বপ্ন আর কল্পনা-জল্পনা আমাদের যা কিছু সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে শেষ হয়ে যাবে?
[০৩ ডিসেম্বর, ২০১৫]

এবার তবে নিশ্চুপ থাকা হোক

By : Maruf Al Berunee
প্রতিটি মানুষের জীবনই কষ্টের। এমনকি যে অপরাধ করতে করতে নিজেকে জুলুম করছে, সে-ও তার অপরাধবোধ, গ্লানি ঢাকতে অন্য কিছু করে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। অথচ রোগে যখন সে ভুগতে থাকে, অথবা যখন মরে যায়, তাকে কাফনের কাপড়ে পেঁচিয়ে মাটির নিচে রেখে আসা হয়। যুগে যুগে শত-শত ক্ষমতালোভী শাসকগুলো এভাবেই বিদায় নিয়েছে। এরপর, একসময় তারা হয়েছে ইতিহাসে বিলীন। কেউ জানেনা, খোঁজ রাখেনা।
ভাবলে কেমন অদ্ভুত লাগে, না? যে মানুষটি হয়ত পৃথিবীর কোনো একটি কোণে, এই যেমন ইয়েমেনে কিংবা সিরিয়ায় আজ একটা পথচারী কিশোর হেঁটে চলতে গিয়ে বোমার আঘাতে মরেই গেলো। কেন মরলো, কে মারলো-- বুঝলোই না। আবার হয়ত হেবরনে, পশ্চিম তীরে অথবা কাশ্মীরে দখলদারী আর্মির হাতে একটা কিশোর হয়ত বন্দী হলো যখন, তখন তার বয়েসি পশ্চিমা ছেলেগুলো পার্টি করে, নাইটক্লাবিং করে কোমর দোলাচ্ছে। বন্দী ছেলেটি অপরাধ সে বুঝলোও না, তাকে গরম পানিতে পুড়িয়ে, বেয়নেটে খুঁচিয়ে মেরে ফেলা হলো। লাশটাও ফেরত গেলো না। কিশোরের মা আহাজারি করে বাকিটা জীবন পার করবে। অথবা হয়ত সেই অভাগী মা একদিন নিজেই গুলি খেয়ে মরে যাবেন। 
জীবন-মৃত্যুর এই খেলা যখন চলছে, তখনই কেউ আবেগঘন প্রেম করছে, কেউ ঝগড়া করছে, কেউ ঠকাচ্ছে, কেউ বার্থডে কেক কাটছে। সবকিছুরই সাক্ষী থাকছে অনেকগুলো রূহ, অনেকজন ইনসানের। তখনই আকাশে হয়ত আলোচ্ছটা জ্বললো উল্কাপিন্ডের। ফুল ফুটছে বাগানে, একজন গার্ডেনার বছর ধরে বসে ছিলেন নাইটকুইনকে ফুটতে দেখবেন বলে। একদল ডলফিন ঝুপ করে লাফ দিলো। পৃথিবীময় সৌন্দর্যের এই নিপুণ বাগানে কত ঘটনা! কত সৃষ্টি, কত প্রেম, কত ভালোবাসা চারপাশে। তবুও নিষ্ঠুর মানুষগুলোই হত্যা করে, কী পেতে চায় কে জানে? হিংসায় জ্বলে-পুড়ে নিজেই ডুবে যায় অনল দহনে। 
এত অনুভূতি ধারণ করতে পারে কি কোনো অন্তর? আমাদের হৃদয়ের মাঝেই তো আকাশের মতন বিশালতা আছে, তবু কি পারি এই পৃথিবীর বৈচিত্র্যকে অনুভূতিতে ধারণ করতে? তীব্রতম কষ্টের মূহুর্তগুলো কোনো সাহিত্যে থাকে না, কেউ লিখতে পারে না। তেমনি সর্বোচ্চ আনন্দের মূহুর্তও পাওয়া যায় না কোথাও। মানুষ পারেনা সুন্দর কিংবা কষ্টকে শব্দে ধারণ করতে।
বাকি সবই খুব অগভীর, প্রদর্শনী কেবল। অগভীর অনুভূতিহীনতায় সবাই ভেসে যায়। অবাক পৃথিবীতে অনেকেই লিখতে চেয়েছে, একসময় হয়ত শ্রান্ত হয়ে নিশ্চুপ হয়ে যেতে চেয়েছে। পারবে না বলে ছেড়ে দিতে চেয়েছে কেউ কেউ।
যিনি বানিয়েছেন সব, সমস্ত সুন্দর-অসুন্দর,ভালো-মন্দগুলো নিয়ে তিনিই বলা উত্তম। থাকুক তবে সকল শব্দ। এবার তবে নিশ্চুপ থাকা হোক।
**************
৩০ নভেম্বর, ২০১৫
সন্ধ্যা ৬-১৫ মিনিট

সমাজের ক্রমবর্ধমান অশ্লীলতার শেষ কোথায়?

By : Maruf Al Berunee
​ওরা সংশয় ছুঁড়ে দেয়-- এত প্রেরণা দিয়ে কী হবে? এত সচেতনতা দিয়ে কী হবে? ওরা বলে ওঠে, সমাজের সবাই ভেসে যাচ্ছে, ঘরে ঘরে এখন সবাই নাটক-সিনেমাতে বুঁদ হয়ে আছে, প্রেমের সাগরে ডুবে শরীরের উত্তাপে পুড়ে চলেছে তরুণ-তরুণীরা যখন, তখন তোমাদের এসব লিখে কী হবে?
আমরা বলি, সবাই যে শান্তি চায় তা আমরা জানি। জানি এই পৃথিবীতে আল্লাহর নির্দেশিত পথ ছাড়া কোথাও শান্তি নেই। মুসলিম ঘরে জন্মে এখন দেশের অধিকাংশ মানুষ ইসলামের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বাইরে। সেক্যুলাররা খেটে-খুঁটে যে শিক্ষাব্যবস্থাকে রূপ দিতে চেয়েছিলো তার অনেকটাই সফল, হয়ত তাদের প্রকৃত লক্ষ্যে পৌঁছতে অনেকটা পথ বাকি। তাতেই মুসলিম মেয়েদের বোরকা পরাকে খুব গরম মনে হয়, হিজাবকে আনস্মার্ট লাগে। চোখ নামিয়ে চলা, দাড়িওয়ালা ছেলেদেরকে দেখলে আনস্মার্ট ও ক্ষ্যাত লাগে। হিন্দি সিরিয়াল না দেখলে তাদের দিন কাটেনা, অথচ দশজন নবী এবং সাহাবীর নামও তারা বলতে পারবে না। নষ্ট শিক্ষাব্যবস্থার নষ্ট প্রোডাকশন এই সমাজ, নতুন প্রজন্ম--আত্মপরিচয়হীন ক্লীবে পরিণত হয়ে গেছে যে সুন্দর সৃষ্টিরা।
কিন্তু আমাদের সামনে একটি ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাসে দেখতে পাই একজন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই গোটা পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত যত মানুষ আসবে, তাদের সবার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে জীবনের মিশন পূর্ণ করেছিলেন। তার সাহাবারা এমন পথ তৈরি করে দিয়ে গেছেন যাতে পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের মুক্তির পথ হিসেবে আদর্শ হয়ে রবে। তাদের শাসন ও কর্মপদ্ধতি ছিলো শান্তি আনয়নকারী, মানবিক।
পৃথিবীতে সবসময়েই খুব কম সংখ্যক মানুষ পরিবর্তন এনেছে, পরিবর্তনে বেশি মানুষ লাগে না। অন্যভাবে বলা যায়, বেশি মানুষ কখনই পরিবর্তন চায় না। জগতে খুব কম মানুষই বীর ছিলো, খুব কম মানুষই জ্ঞানী ছিলো। বেশিরভাগ মানুষই জন্ম নিয়ে, খেয়ে-দেয়ে, প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে, শরীরের কামনা পূরণ করে মরে গেছে।
আজকে আমরা যারা এই চরম কামে ভরপুর পথঘাট-ক্লাসরুম-বিলবোর্ডভরা, মাস্তি-ডিজেড্যান্সেভরা, হিন্দি সিরিয়াল আর অশ্লীল হিন্দি মিউজিক ভিডিওভরা সমাজে আখিরাতের নিশ্চিত শান্তি পেতে বুকে দৃঢ়তা ও কষ্ট নিয়ে ভিন্ন এক শান্তির ধারা রচনা করতে চেষ্টা করছি, একদিন আমরাই সমাজে ছড়িয়ে যাবো ইনশা আল্লাহ।
ভুল জিনিসগুলো বেশিদিন থাকে না। অন্যায়কারী ব্রিটিশ সাম্রাজ্য দুই-তিনশ বছর পরে গোটা দুনিয়া থেকে হারিয়ে এখন ছোট্ট একটি ভুখন্ডে ধুঁকে ধুঁকে আছে। এখনকার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদেরও পতন হবে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এই ধ্বংস হয়ত বৃদ্ধি পেতে পেতে একসময় সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। এরপর আবার সত্য ও শান্তিকে চাওয়া মানুষরা দ্বীনকে আঁকড়ে ধরবে। লক্ষ কোটি মিথ্যায় সবকিছু সয়লাব হলেও সবশেষে  শুধু সত্য টিকে থাকে। এসব অশ্লীলতা নষ্টামির সভ্যতা ও সংস্কৃতি তো ধ্বংস হয়, হবেই।
আল্লাহ আমাদের সমাজকে রহম করুন। আমাদের পরিবারগুলো যেন হয় শান্তিময় ও আত্মশক্তির উৎস। আল্লাহ যেন আমাদেরকে আমাদের দুর্বল ঈমানের অপারগতা থেকে ক্ষমা করেন। হে আমাদের রব, আমাদেরকে কল্যাণময় জ্ঞান দান করুন, আমাদের জীবনকে কবুল করুন!
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রাজা, রাজত্ব ও রাজপরিবার ইমাম, ইমামত ও ইমাম পরিবার

By : Maruf Al Berunee
রাজ রাজরার রাজত্ব পার্থিব ভোগ বিলাসের । তাই রাজা,রাণী ও রাজপুত্র কন্যা রাজত্বের ভোগ বিলাসের সিংহাসন রক্ষার্থে রাজকীয় শিক্ষা –দীক্ষায় যত্নবান হয় । এটা খুব সহজ ও স্বাভাবিক ।

ইসলামের ইমামত পার্থিব ত্যাগ ও তিতিক্ষার । তাই ইমাম, ইমামের সহধর্মিণী এবং তাদের সন্তানেরা সর্বদা সবদিক থেকে পরীক্ষার কসাঘাতে জীবনের প্রতিটি দিন কাটায় । এ বড়ো কঠিন জীবন । 

নবী রাসূলদের জীবনও কঠিন । তবে তাঁদের আল্লাহর সাথে সরাসরি যোগাযোগের ফলে অহী নাযিল, ফেরেশতাদের গমনাগমন ও অলৌকিক ঘটনার ফলে তাঁদের পরিবারে আল্লাহর দ্বীনের শিক্ষা-দীক্ষা ধারন করে রাখা তুলানা মূলক সহজ ।

কিন্তু নবীদের ওয়ারিশ খাঁটি আলেমদের ঘর ও পরিবার দ্বীনের উপর টিকিয়ে রাখা অতীব কঠিন কাজ । কারন তাদের কাজ ‘‘ইমান বিলগায়ব’’এর উপর ভিত্তিকরে প্রত্যক্ষ অহী ও দৃশ্যমান অলৌকিক ঘটনা ছাড়া । দুনইয়াতে ত্যাগ আর ত্যাগই তাদের জীবন । ইহ জগতে প্রাপ্তির কোন নিশ্চয়তা তাদের নেই। পরকালে প্রাপ্তিই তাদের জীবন মরনের পাথেয়। বিশেষ করে আখেরি যামানায় এ আমানাত ধরে রাখতে হিমালয়ের চেয়েও অটল দৃঢ়তার পরীক্ষা অপরিহার্য।

আমাদের হৃদয়টার যত্ন নেয়া প্রয়োজন

By : Maruf Al Berunee
আমরা কত্তো কিছুই তো করি... নিজের জন্য, অন্যের জন্য। অন্য কারো সুখের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতেও চেষ্টা করি। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চাই, তাদের চেষ্টাও থাকে যত বেশি পারা যায় লোকের সামনে হোক অথবা অগোচরেই হোক, বেশি বেশি অন্যের উপকার করতে থাকা। কখনো জনমভোর অন্যের জন্য করে একসময় কষ্ট পেয়ে যাওয়া, অথবা কারো ভালো করতে গিয়ে যেন হয়ত নিজের ক্ষতি হলেও মেনে নিই, ভালোবাসা থেকে, দয়া থেকে। অন্যের জন্য নিজের কেমন ধরণের ক্ষতি মেনে নিচ্ছি, সেটা নিয়েও একপ্রস্ত চিন্তা করার আছে...
মনে হয় একটা অন্যরকম ব্যাপার আছে, যেটা হয়ত আমাদের চিন্তা থেকে এড়িয়ে যায়--  আল্লাহ যেদিন আমাদেরকে দাঁড় করাবেন, সেদিন আমরা কারো ভাই হিসেবে না, কারো বোন হিসেবে না, কারো ছেলে কিংবা মেয়ে হয়ে নয়, কারো সন্তান কিংবা বাবা/মা হয়েও নয়, কারো স্বামী বা স্ত্রী হয়েও নয় -- আমরা দাঁড়াবো 'আমি' হয়ে। যেই আমি আমার অন্তরটাকে ধারণ করতাম, যেই আমি আমার হৃদয় নিয়ে কাজ করেছি পৃথিবীতে... বাইরে যা-ই করেছি, হৃদয় জানতো আসল উদ্দেশ্য কী ছিলো, কী করতে পারা যেত অথচ হয়ত করা হয়নি... এমন আরো অনেক কিছু...
হৃদয়টার যত্ন নেয়া প্রয়োজন। হৃদয়ের ব্যাপারে সচেতন হওয়াও প্রয়োজন। হৃদয়ে কীসের স্পর্শ লাগছে, হৃদয় কীসের জন্য আকুল হচ্ছে, হৃদয় আমার কাকে বেশি ভালোবাসে, কী বেশি ভালোবাসে... হৃদয় আমার কাকে খুশি করতে চায়, কেন চায়। অশান্ত আর অন্যায়ের মাঝে আমার হৃদয় কাকে আশ্রয় হিসেবে নেয়... এমন হয়তো আরো অজস্র বিষয় আছে, তা নিজ নিজ জীবনে আমাদের উপলব্ধি ও আবিষ্কারের বিষয়, সচেতনতার বিষয়। কারণ, সেই দিনটি অবধারিত যেদিন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদেরকে দাঁড় করাবেন, আমাদেরকে বলতে হবে কী করেছিলাম, কেন করেছিলাম।  এই দুনিয়াতেও আল্লাহ আমাদের এই হৃদয়ের দিকেই তাকান, বাহ্যিক বিষয়গুলো তো বাহ্যিকই।
যার সামনে যেমন উপকরণ তার 'আউটপুট' তেমনি বদলে যায়। এই এখন, হাতের সামনে কম্পিউটার-ইন্টারনেট কানেকশন থাকায় এই কথাগুলো হয়ত কিছু মানুষের কাছে পঠিত হবে কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছেন যারা অনেক কঠিন পরীক্ষার মাঝে অনেক অনেক গভীর থেকে উপলব্ধি করেন, নিজেদের বদলে দেন -- কিন্তু তাদের সুযোগ নেই/ইচ্ছা নেই অন্যদের কাছে ছড়ানোর। তাই বলে অনুভব আটকে থাকে না। আল্লাহ ঐ অন্তরটাকেই দেখেন, বাহ্যিক বিষয়গুলো তো কেবলই 'শো-অফ', এ থেকে কেমন অর্জন হতে পারে, তা হৃদয় বুঝতে পারে একটু হলেও...
হৃদয় নিয়ে শঙ্কা-ভীতি-সন্দেহ-অসহায়ত্ব হয়ই, তবে নিজের জন্য রোগের উপশম হিসেবে শিখেছি সেই দু'আ, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও সুন্দরতম হৃদয়ের মানুষটি শিখিয়েছিলেন যেন অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী আল্লাহর কাছে আমাদের অন্তরকে দ্বীনের দিকে ঘুরিয়ে দেয়ার সাহায্য চাওয়া যায় প্রতিনিয়ত, "ইয়া মুক্কাল্লিবাল ক্কুলুব, সাব্বিত ক্কুলুবানা 'আলা দ্বীনিক"...
[১০ জানুয়ারি, ২০১৫]

Copyright © Technology Is For Us, We Are Not For Technology!!! - - Designed by Maruf Al Berunee -