Archive for August 2018
তাবলীগঃ কওমান তাজহালুন, তারিকায়ে জাহান্নাম, আল্লামা ইবলীস
By : Maruf Al Berunee
কওমান তাজহালুন, তারিকায়ে জাহান্নাম,
আল্লামা ইবলীশ (মুর্খ
সম্প্রদায়, জাহান্নামের তরিকা, বিদ্যাসাগর ইবলীশ)
আমাদের আগে শিরক সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
আল্লাহ শিরক সম্পর্কে কোরআন বলেছেন-
আল্লাহ শিরক এর গুনাহ মাফ করেন না। (সূরা
নিসা-৪:৪৮)
শিরক সম্বন্ধে মহানবী সাঃ সহ ১৮ জন নবীর নাম
উচ্চারণ করে বলেছেন, তারা যদি শিরক করতো
আল্লাহর সাথে তাহলে তাদের আমলগুলো বরবাদহয়ে যেতো। (সূরা আনআম-৮৮)
আবার নবী মোহাম্মদ সাঃ কেই বলা হইছে, (হে নবী) যদি তুমি আল্লাহর সাথে শিরক করো
তোমার আমলও বাতিল এবং তুমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। নবীকেও ছাড় দেওয়া হয় নাই। (সূরা
যুমার-৬৫)
সর্বশেষ যারা শিরক করে তাদের জন্য জান্নাত
হারাম করে দেওয়া হইছে। (সূরা মায়িদাহ-৫:৭২)
জেনে নিলাম শিরক এর কুফল। নবী মোহাম্মদ সাঃ
যদি শিরক করেন তাহলে উনার আমলই যদি বাতিল হয়ে যায় তবে আমাদের আমল কি টিকে থাকবে।
আমরা যত বড় আমলদারই হই না কেন? যতবড় আলেমই হই না কেন? যদি শিরক করি সব আমল বাতিল। ফাজাযেলে আমল
পড়লে অনেক আমল শিখা যায়। কিন্তু যদি শিরকও করি আমলও করি। তাহলে সেই আমলের কোন
মূল্য নাই আল্লাহর নিকট। সত্য সঠিক অল্প আমলই এনাফ। কারণ আল্লাহর নিকট এখলাসপূর্ণ
শিরকমুক্ত ইবাদাতও গ্রহণযোগ্য। (সূরা যুমার-৩)
কি কি বিষয় তাবলীগ বা প্রচার করবো আমরা?
আল্লাহ আমাদের সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবীর উম্মত
করেছেন এবং আমাদের জানিয়েছেন কি কি বিষয় তাবলীগ বা প্রচার করতে হবে।
সূরা মায়িদাহ-৫:৬৭> হে
রসূল, পৌছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার
প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে।
এখানে যা অবতীর্ণ হয়েছে বলতে কোরআন ও সহীহ
হাদিসকে বুঝানো হয়েছে পৃথিবীর সকল আলেমদের মতে।
এছাড়াও সূরা আরাফ-৩> অনুসরণ
কর যা তোমার প্রতি নাজিল হইছে তোমার রবের পক্ষ থেকে। অনুসরণ করো না আউলিয়াদের
(আলিম, বুজুর্গ, পন্ডিত ইত্যাদি)।
যদি নবী কোরআন বাদ দিয়ে অন্তর বা মনের বা
খেয়ালখুশির অনুসরণ করতেন তাহলে কি হত? সূরা রা'দ-১৩> এমনিভাবেই আমি এ কোরআনকে
আরবী ভাষায় নির্দেশরূপে অবতীর্ণ করেছি। যদি আপনি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করেন
আপনার কাছে জ্ঞান পৌঁছার পর, তবে আল্লাহর (আজাব) কবল
থেকে আপনার না কোন সাহায্যকারী আছে এবং না কোন রক্ষাকারী।
হে মানুষ, চিন্তা করেন নবীকে
কতবড় থ্রেট। যদি মনো বাসনা বা প্রবৃত্তির অনুসরণ করেন তো আল্লাহর আজাব উনাকেও ঘিরে
ধরবে।
নবী প্রেমের বিভিন্ন কাহিনী শিরোনামে একটি
অধ্যায়। যেখানে আল্লাহ বলেছেন কোরআন ও সহীহ হাদিস তাবলীগ করতে সেখানে তাবলীগ করা
হইতেছে নবী প্রেমের কাহিনী। দেখেন কোন শিরক আছে কি না?
কাহিনীসমূহ নিম্নরূপঃ
(১)
শায়েখ আবুল খায়ের বলেন, একবার মদীনা মোনাওয়ারায়
হাজির হইয়া পাঁচ দিন পর্যন্ত আমাকে উপবাস থাকতে হয়। খাওয়ার জন্য কিছুই না পেয়ে
অবশেষে আমি হুজুর এবং শায়ইখানের কবরের মধ্যে সালাম পড়িয়া আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল। আমি আজ রাতে আপনার মেহমান হবো। এই কথা আরজ করে মিম্বর শরীফের নিকট গিয়ে আমি
শুইয়া পড়লাম। স্বপ্নে দেখি, হুজুরে পাক (সাঃ) তাশরীফ
এনেছেন। ডানে হযরত আবু বকর, বাম দিকে হজরত ওমর এবং
সামনে হজরত আলী রাঃ। হযরত আলী রাঃ আমাকে ডেকে বলেন, এই
দেখ, হুজুর সাঃ তাশরীফ এনেছেন। আমি উঠা মাত্রই মহানবী সাঃ আমাকে একটা রুটি দিলেন, আমি অর্ধেক খেয়ে ফেলি। তারপর যখন আমার চোখ খুলিল তখন আমার হাতে বাকী
অর্ধেক ছিল (রুটি অবশিষ্টাংশ)। সূত্রঃ
ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৬ পৃষ্ঠা।
সম্মানিত মুসলিম ভাইগণ!
=> আল্লাহকে ছেড়ে মৃতু্র পর নবীর মাজারে গিয়ে খাদ্যের
প্রার্থনা করা স্পষ্ট শিরক নয় কি? =>
মৃতুর
পর নবী কবরে থেকেও খাওয়াতে পারেন এ আক্বিদাহ পোষন করা শিরক নয় কি? => এই রকম শিরকী আকিদাহ কি মানুষকে জান্নাতের
দিকে নিয়ে যায়, নাকি জাহান্নামের দিকে? অথচ মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন, ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব
আল্লাহর। (সূরা হুদ-৬)
এখান থেকেই সূফীদের শিরকি আক্বিদাহ """কেউ ফেরে না খালি হাতে, খাজা বাবার দরবার
হতে"" টাইপের গান শুরু হইছে।
নবীর রওজায় যদি গিয়ে রুটি পাওয়া যায়। তবে ওলী আউলিয়ার মাজারে কেন চুইংগাম পাওয়া যাবে না। এই কাহিনী নিশ্চিত নিশ্চিত
ভাবে মানুষকে শিরক ও মাজার মুখি করার শিক্ষা দেয়।
২) বিখ্যাত সূফী (?) ও বুজুর্গ হজরত শায়খ আহমদ রেফয়ী (রঃ) ৫৫৫ হিজরী সনে হজ্জ সমাপন করিয়া নবীজির রওজা
জিয়ারতের জন্য মদিনায় হাজির হন। সেখানে তিনি নিম্নোক্ত রওজার সামনে দাঁড়াইয়া
নিম্নোক্ত দুটি বয়াত পড়েন।
"দূরে থাকা অবস্থায় আমি আমার রুহকে হুজুর সাঃ
এর খেদমতে পাঠাইয়া দিতাম। সে (রুহ) আমার নায়েব হইয়া আস্তানা শরীফে চুম্বন করিত। আজ
আমি শ্বশরীরে দরবারে হাজির হইয়াছি। কাজেই হুজুর আপন হস্ত বাড়াইয়া দেন যেন আমির ঠোট
উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করে।
বয়াত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে (??) কবর হইতে হাত মোবারক বাহির হইয়া আসে এবং হযরত রেফায়ী উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করেন।
বলা হয় যে, সে
সময় মসজিদে নববীতে ৯০ হাজার লোকের সমাগম ছিল। সকলেই বিদু্তের মতো হাত মোবারকের
চমক দেখিতে পায়। তাহাদের মধ্যে মাহবুবে ছোবহানী আব্দুল কাদের জিলানীও ছিলেন। সূত্র: ফাজায়েলে হজ্জ-২৫৮ পৃষ্ঠা ২৩তম
নবী প্রেমের কাহিনী।
ওহে তাবলীগ প্রেমী আল্লাহর বান্দারা, চিন্তা কর। জ্ঞান খাটাও। আমার কথায় না, আল্লাহর কথায় যা সূরা যুমার এর ১৮ নং আয়াত এ।
আজও মসজিদে নববীতে ৯০ হাজার লোক ধারণ করে না। আর ৯০ হাজার লোক যদি থেকেই থাকে
তাহলে কিভাবে ৯০ হাজার মানুষ এট এ টাইম এই হাতের ঝলকানি দেখতে
পায়?
=> এই ফালতু মার্কা কাহিনীই কি তোমরা বিশ্বাস কর? => এই সব জিনিসেরই কি তোমরা তাবলীগ করো?
নবীজি সাঃ কখনো আবু বকর(রাঃ) ওমর(রাঃ), ওসমান(রাঃ), আলী
(রাঃ) এর জন্য হাত বাড়ালেন না। কখনো নবী পরবর্তী এত যুদ্ধ হাঙ্গামার সময় হাত
বাড়ালেন না। আর কোন জায়গার কোন রেফায়ীর জন্য কবর থেকে হাত বাড়ান। এই সব গাজাখুরী কাহিনীই কি তোমাদের তাবলীগের বিষয়?
=>আর ৯০ হাজার মানুষের কথা বইলা মানুষের মাথায় এই কাহিনীটাকে
সত্য হিসেবে স্থান দিতে চেষ্টা করা হইছে যে ৯০ হাজার লোক যেখানে হাত দেখতে সেটা ভূল হইতে পারে না।
=> এবং আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ এর নাম দিয়া কাহিনীটারে আরো পাকাপোক্ত করা
হইছে।
=> আবার দেখেন রুহকে ইমেইলের মতো সেন্ড করে, প্রতিবারই
নবীজি সাঃ কবর থেকে চুমা দেন।
এই সব কাহিনী একমাত্র সূফীদেরই হয়ে থাকে যেমন
দেওয়ানবাগীর ১৯৯৮ সালের সম্মেলনে নাকি স্বয়ং আল্লাহ ও রাসূল সাঃ দেওয়ান শরীফে
এসেছেন। নাউজুবিল্লাহ।
বুখারীর প্রথমে দিকের সহীহ হাদিস> যে নবীর নামে মিথ্যারোপ করে সে জাহান্নামে
তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।
এই হাদিস অনুযায়ী যারা নবীর নামে মিথ্যারোপ
করে, তাবলীগে গিয়ে গাজাখুরি মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী
শুনে এসে প্রচার করে,
আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই তারা কি জাহান্নামে
তাদের ঠিকানা বানিয়ে নিচ্ছে না?
(৩)
জনৈক বেদুঈন হুজুর (ছঃ) এর কবর শরীফের নিকট দাড়াইয়া আরজ করিল,
হে রব! তুমি গোলাম আজাদ করার হুকুম করেছো।
ইনি (নবী সাঃ) তোমার মাহবুব, আমি তোমার গোলাম। আপন মাহবুবের কবরের উপর
আমি গোলামকে (জাহান্নামের) আগুন হইতে আজাদ করিয়া দাও। গায়েব হইতে আওয়াজ আসিল, তুমি একা নিজের জন্য কেন আজাদী (ক্ষমা)
চাহিলে? সমস্ত মানুষের জন্য কেন
আজাদী চাহিলে না। আমি তোমাকে আগুন হইতে আজাদ করিয়া দিলাম। (সূত্র: ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৪ পৃষ্টার ১ম
কাহিনী)
সম্মানিত জ্ঞানী মুসলিম ভাইগণ, রাসুলের মৃতু্র পর তার মাজারে গিয়ে প্রার্থনা
করা মাজারপূজারীদের সাদৃশ্য নয় কি?
গায়েবী আওয়াজ শুনা তো নবুওয়াতের কাজ। ঐ
বেদুঈন কি নবী ছিল যে গায়েবী আওয়াজ এলো " আমি তোমাদের আগুন থেকে
আজাদ করিয়া দিলাম"।
ভাবতে অবাক লাগে শাইখুল হাদিসের মত একজন স্বনামধন্য আলিম এ জাতীয় ইসলাম বিরোধী আক্বিদাহ বিশ্বাস
কিভাবে ছড়াতে চেয়েছেন তাবলীগী নিসাবের মাধ্যমে।
কোরআন থেকে আমরা জানতে পারি আল্লাহ শুধু মাত্র মুসা আঃ এর সাথে দুনিয়ায় জীবনে কথা বলতেন। এবং অন্য আয়াতে আছে মানুষের এমন কোন যোগ্যতা নাই যে সে আল্লাহর সাথে কথা বলবে। কিন্তু তাবলীগি
নিসাব পড়লে বুঝা যায় আল্লাহ গায়েবীভাবে মানুষের সাথেও কথা বলেন।
আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি না আল্লাহ নবীর পরে আমাদের সাথে কথা বলবেন।
এই আক্বিদাহ একমাত্র দেওয়ানবাগী, সুরেশ্বরী, চরমোনাই এর পীরগণ ও সূফীবাদিরাই রাখতে পারেন।
কারণ তাদের হজ্জ করা লাগে না। কাবা এবং স্বয়ং আল্লাহ ও রাসুল তাদের বাসায় আসেন। নাউজুবিল্লাহ।
এই সব পীরপন্থী গ্রন্থ ও পীরদের ইসলাম আর নবী
মোহাম্মদ সাঃ এর ইসলাম কখনোই এক নয়, কখনো
ছিলও না।
=============================================
(৪) শায়েখ ইব্রাহিম এবনে শায়বান (রঃ) বলেন, আমি
হজ্বের পর মদিনা পাকে পৌছাইয়া কবর শরীফে হাজির হইয়া হুজুর পাক সাঃ এর খেদমতে ছালাম
আরজ করিলাম। উত্তরে হুজরা শরীফ হইতে ওয়ালাইকুমুস্সালাম শুনিতে পাই। সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্ব-পৃষ্ঠা-২৫৫ (৫ নং কাহিনী)
ও আল্লাহর বান্দারা চিন্তা কর, নবীজি সাঃ কবর থেকেও সালামের উত্তর দেন। এই
সব আক্বিদার তাবলীগ করতে কে তোমাদের নির্দেশ দিছে? এই কাহিনী দিয়া এটাই বুঝাইতে চায় যে ইব্রাহিম
এবনে শায়বান আল্লাহর অলী ছিল। তাকে তোমরা পাওনি। তিনি পরকালে চলে
গেছেন। অতএব এখন তোমাদের সামনে যারা আছে অর্থ্যাত পীরগণ তাহাদের খেদমত কর। তাদের
পুজা কর, সিজদা কর, ইবাদাতের না, সম্মানের
সিজদাহ।
কত বড় গাজাখুরী কাহিনীতে ভরা এই ফাজায়েলে
হজ্জ্ব। কলমের কালি শেষ হইয়া যাইবো
ফাজায়েলে আমলের কাহিনী কাটা শুরু করলে।
=============================================
(৫) আল্লামা কাস্তালানী (রঃ) বলেন, আমি একবার এমন কঠিন রোগে আক্রান্ত হই যে, ডাক্তারগণ পর্যন্ত নিরাশ হইয়া যায়। অবশেষে আমি মক্কা শরীফ অবস্থানকালে হুজুর সাঃ এর উছিলায় দোয়া করিলাম। রাত্রি বেলায় আমি স্বপ্নে দেখি, এক ব্যক্তির হাতে একটি কাগজের টুকরা, তাহাতে লেখা রহিয়াছে, ইহা আহমাদ বিন কাস্তালানীর জন্য ওষুধ। হুজুরে পাক (সাঃ) এর তরফ
থেকে তাহার নির্দেশে (?) ইহা
দান করা হইয়াছে। আমি ঘুম হইতে জাগ্রত হইয়া দেখি আমার মধ্যে রোগের কোন চিহ্ন নাই।
সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৫ পৃষ্ঠা (৬ নং
কাহিনী)
হে আমার বিরোধীতাকারীরা, এ জাতীয় আক্বীদা বা বিশ্বাস যা শায়খ তুলে
ধরেছেন এবং ছড়িয়ে দিয়েছেন মসজিদে মসজিদে তা কি কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী না।
অনেকে আমাকে বলছে, দেখান কই আছে কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোন
কিছূ। আমি তাদের চোখে আঙ্গুল
দিয়ে দেখাতে চাই, কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা
হলো মানুষ অসুস্থ হলে আরোগ্যের জন্য আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করবে।
=> নবীগণও অসুস্থ হলে আল্লাহর নিকট সাহায্য চাইতেন। কোন নবী
অসুস্থ হলে অন্য নবীর ওয়াসীলায় অথবা মাজারে গিয়ে প্রার্থনা করেছেন মর্মে কোন দলিল
পাওয়া যায় না।
=> মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম আঃ অসুস্থ হলে কি করেছিলেন
আল্লাহ তায়ালা তা কুরআনে বর্ণনা করেন।
আমি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি, তখন আল্লাহই আমাকে আরোগ্য
দান করেন। (আশ শুয়ারা-৮০)
আইয়ুব আঃ অসুস্থ হয়ে প্রার্থনা করেনঃ
"আর স্মরণ কর আইয়ুবের কথা যখন সে তার
প্রতিপালকের আহ্বান করে বলেছিল, আমি দুঃখ কষ্টে পড়েছি, আর আপনি দয়াবানদের চেয়েও
সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াবাদ। (সূরা আল আম্বিয়া-৮৩)
=> আল্লাহ তাদের আরোগ্যতা দান করেছিলেন। আর এই কাহিনী বলে নবীজির নির্দেশে এই ওষুধ। তাহলে আল্লাহ কই?
বিশ্বনবী সাঃ যখন কোন অসুস্থ লোককে দেখতে
যেতেন তখন এই দুয়া পাঠ করতেনঃ
"হে মানবমন্ডলীর প্রতিপালক! এই রোগ দূর করে দিন, আরোগ্য দান করুন। একমাত্র আপনিই আরোগ্য
দানকারী। আপনার শিফা ব্যতিত আর কোন শিফা নেই। আপনার শিফা এমন যে কোন রোগকে ছাড়ে
না। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম মিশকাত হাঃ
১৫৩০, মুসলিমের দোয়া পৃঃ১৩৪)
ও আল্লাহর বান্দারা, সম্মানিত মুসলিম ভাই ও
বোনেরা, শায়খ জাকারিয়া তাবলীগি
নিসাবের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিমকে তাওহীদ বিরোধী এক ভয়ানক শিরকী আক্বীদার তালীম দিতে
চেয়েছেন।
মৃত্যর পরও নবী সাঃ ডাক্তারী করেন, রোগী আরোগ্য করেন, স্বপ্নযোগে ফি ছাড়া ওষুধ
পাঠান, এমন আক্বিদাহ কি মুসলিমরা
রাখতে পারে?
হে মুসলিম জাতি, গোড়ামি ছেড়ে বিবেক খাটান। এই সব বিষয়ই কি
তোমরা তাবলীগ কর। আমি শুনেছি, সারা বিশ্বে কোরআন এর পর
যেটা সবচেয়ে বেশী পড়া হয় তা এই ফাজায়েলে আমল। এই কি ফাজায়েলে আমলের শিক্ষা? এজন্যই তো শাহজালাল শাহপরান, আজমীর শরীফে মানুষদের ভিড় হয়, কবরু পুজা, মাজার
পুজা করে।
আল্লাহর কাছে আরোগ্যতা না চেয়ে মানুষ,ব্যক্তি, কবর, মাজার এর কাছে গিয়ে
আরোগ্যতা চাওয়া কি শিরক না?
এইটা যদি শিরক হয়, তবে এটা কি জান্নাত হারাম
করে দেয় না?
সূরা যুমার-১৮> যারা মনোনিবেশ সহকারে
কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার
অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথদেখান এবং তারাই বুদ্ধিমান।
অতএব কেউ যদি আল্লাহর নিকট থেকে সৎপথ পেতে চায় এবং আল্লাহর নিকট বুদ্ধিমান হিসেবে বিবেচিত হতে চায় তার উচিত উপরের আয়াত
অনুযায়ী মনোযোগ সহকারে কথা শুনা, আমার কথাও শুনা, তাবলীগের হুজুরদের কথাও
শুনা।
অতপর
যা কোরআন ও হাদিসের সাথে মিলবে অর্থ্যাৎ যেটা উত্তম তার অনুসরণ
করা।
কেউ যদি আমারে মাথা দিয়া পাহাড় ঠেলার মতো
ফাস্টেই পথভ্রষ্ট কাফের মুশরিক বলেন তবে সেটা তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর
তারা সৎপথ পাবে না আল্লাহর নিকট
থেকে সূরা যুমার এর ১৮ নং আয়াত অনুযায়ী এবং তারা বুদ্ধিমানও না।
মূলত:- আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি নবী সাঃ কে
প্রেরণ করা হয়েছিল আমাদের শিরক মুক্ত করানোর জন্য, সত্য প্রকাশের জন্য, সুসংবাদ জানানোর জন্য এবং
জাহান্নাম সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য। তিনি উনার কাজ সম্পন্ন করে গেছেন এবং বিদায়
হজ্জ্বের শেষে সোয়া লাখ মুসলিম সাহাবা সমস্বরে সেটার স্বাক্ষী হয়েছেন এবং মহান
আল্লাহও স্বাক্ষী যে তিনি উনার দায়িত্ব সম্পন্ন করে গেছেন। কিন্তু ফাজায়েলে আমল
পড়লে দেখতে পাবেন সেখানে নবীজি সাঃ এর দায়িত্ব শেষ হয় নাই। তিনি এখনও বিচার কাজ করে থাকেন । শালিশী করে থাকেন।
এমনকি মানুষকে মৃতু দন্ডও দিয়ে
থাকেন।
মক্কার কাফেরদের মুর্তি যখন ভাঙ্গা হয়েছিল
তারা সাহাবাদের বলছিল যে মুর্তি গুলো ভেঙ্গো না, ভাঙ্গতে
গেলে অদৃশ্য শক্তি বাধা দেবে তোমাদের। এটা ছিল তাদের কুসংস্কার। ঠিক তেমন
কুসংস্কার হলো নবী সাঃ কবর থেকে শালিশী
করেন, মৃতুদন্ড দেন।
কারণ কবর থেকে কেউ সাহায্য করতে পারে, শালিশী করতে পারে, বিচারকাজ করতে পারে, সাহায্য করতে পারে, সন্তান দিতে পারে এমন আক্বিদাহ পোষণ করা শিরক। কারণ সন্তান দেওয়ার মালিক
আল্লাহ। কবর থেকে নবী যদি বিচার
করতেই পারতেন তবে ইয়াজিদের বাহিনী, খারেজীদেরও বিচার করতে পারতেন। ওসমান রাঃ কে
যারা হত্যা করছে তাদের বিচার করতে পারবেন, আলী রাঃকে যারা হত্যা করছে তাদেরও বিচার করতে
পারতেন।
এখন আবার বিরোধীতাকারীরা বলবে না না, আমরা নবীর কাছে চাব, নবী আল্লাহকে এনে দিবেন। এটা শিরক হয় না।
তারা এখানে মাধ্যম ধরতে চায়। ঠিক তেমনি মুর্তি পুজারীদের
ব্যাপারেও আল্লাহ বলেছেন সূরা যুমার এর ৩ নং আয়াতে যে তারা মুর্তি পূজা করে
আল্লাহর নৈকট্য পাবার জন্য মাধ্যম হিসেবে। এখন তারা যদি মাধ্যম ধরার কারণে অংশীদার স্থাপন করে মুশরিক
হয়, তবে আমরা যারা কবরকে
মাধ্যম ধরি তারা কি শিরক করি না? মুশরিক বললাম না কারণ মুশরিক বলার অনেক শর্ত আছে। চলুন কাহিনীটা প্রত্যক্ষ করি।
=============================================
কাহিনী নং-১ ছাবেত বিন আহমদ বলেন, তিনি একজন মোয়াজ্জেনকে মসজিদে নব্বীতে আজাত
দিতে দেখিয়াছিলেন। মোয়াজ্জেন যখন আচ্ছালাতু খায়রুম মিন্নাওম বলিল, তখন এক খাদেম আসিয়া তাঁহাকে একটি থাপ্পড় মারিল। মোয়াজ্জেন কাঁদিয়া উঠিয়া আরজ করিল, ইয়া রাসুলুল্লাহ, আপনার উপস্থিতিতে আমার
সাথে এইরূপ হইতেছে? (মানে বিচার দিল) সঙ্গে
সঙ্গে সেই খাদেমের শরীর অবশ হইয়া গেল। লোকজন তাহাকে উঠাইয়া ঘরে লইয়া গেল
এবং তিন দিন পর সে মরিয়াগেল।
---------------------------------------------------(ফাজায়েলে হজ্জ্ব ২৬২পৃ)
>>>চিন্তা করেন। নবীর উপস্থিতিতে বেয়াদবি করল। যেই বিচার দিল নবীর কাছে অমনী অবশ ও নিহত। ঠিক একই আক্বিদা রাখা হয় মাজারগুলোতে। যেমন মাজারের বুজুর্গের
কবরের দিকে পিঠ দেওয়া যাবে না, বেয়াদবী। শুনেছি শাহপরান এর মাজারেও
নাকি পিঠ দিয়ে বের হতে দেয় না। তেমনি জীবিত পীরদের বেলাও একই কাহিনী। পীরদের দিকে পিঠ দেওযাকে বেয়াদবী মনে করা হয়।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলিলেন, আরে
এটা তো জাস্ট কাহিনী, বিধান না (কর্ণেল
ছামুরাই)। কিন্তু তারা চিন্তা করে না এই কাহিনীর চরিত্রে কারা আছে। এটা সাধারণ
মানুষের কাহিনী হলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু যখন নবীকে এ্যাড করা হইছে তখনই আমাদের মুসলিমদের
সমস্যায় পরিণত হইছে। কারণ নবীর নামে মিথ্যা বলা বা বানিয়ে অবাস্তব কাহিনী বলা, কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী
কাহিনী বর্ণনা করা, আক্বিদা বিনষ্টকারী কাহিনী
প্রচার করা মুসলিমরা কখনো মেনে নেয় না। এই
কাহিনী নিশ্চিতভাবে কবরপূজারী, মাজারপূজারীদের কর্মকান্ডকে সমর্থন করে। এই কাহিনী
নিশ্চিতভাবেই মুসলিমদের কবর পুজায় উৎসাহিত করে।
আউলিয়া কেরামের মাজারে যাওয়া জায়েজ। যাওয়ার পর বাকি কাজ শয়তানই
বলে দেয়, কিভাবে অভদ্রতা না হয়, কিভাবে সন্তান চাইতে হয়? নবীজি সাঃ কবরে থেকে যদি বিচার করতে পারেন, সাহায্য করতে পারেন তো ওলী
আউলিয়াগণ কেন সাহায্য করতে পারবেন না?
অথচ কবর বিষয়ক ইসলামী আক্বিদা হলো-
হাদিসে এসেছে— عن أنس رضى الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : كنت نهيتكم عن زيارة القبور، ألا فزوروها فإنها ترق القلب وتدمع العين وتذكر الآخرة، ولا تقولوا هجرا
( صحيح الجامع رقم الحديث
: ৪৫৮৪) আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে করিম রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি
তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, হ্যাঁ
এখন তোমরা কবর জিয়ারত করবে। কারণ কবর (১) জিয়ারত হৃদয়কে কোমল
করে, (২) নয়নকে অশ্র“সিক্ত করে
ও (৩) পরকালকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
তবে তোমরা শোক ও বেদনা প্রকাশ করতে সেখানে কিছু বলবে না। (সহিহুল জামে, হাদিস নং ৪৫৮৪)
=> হাদিস অনুযায়ী কবররে যাওয়ার একটাই কারণ পরকালকে স্বরণ, মৃতুকে স্বরণ। আমরা নবীজি সাঃ এর কবরের নিকটও যাব আমাদের
পরকালকে স্মরণ করতে, মৃতুকে স্মরণ করতে, নবীজি সাঃ এর কবরকে জিয়ারত
বা দর্শন করতে।
=> নবী যেখানে বলছেন বেদনা প্রকাশ করতে
কিছু বলবে না, সেখানে মহিলা গিয়ে বিচার দেয়, শরীর অবশ হয়, মারা যায়। চিন্তা করেন। এই কাহিনীরে কোন ক্যাটাগরিতে ফালামু বুঝতে পারছি না।
=============================================
এক কাহিনী লিখতেই পোষ্ট অনেকবড় হয়ে গেল। এবার ২য় কাহিনী।
কাহিনী নং-২ ইউসুফ বিন আলী বলেন, জনৈক হাশেমী মেয়েলোক মাদীনায় বাস করিত। তাহার কয়েকজন খাদেম তাহাকে বড় কষ্ট দিত । সে হুজুরের দরবারে ফরিয়াদ লইয়া হাজির হইল
(বিচার চাইতে হাজির)। রওজা শরীফ হইতে আওয়াজ আসিল, তোমার মধ্যে কি আমার আদর্শের প্রতি আনুগত্যের আগ্রহ নাই। তুমি ছবর কর যেমন আমি ছবর
করিয়াছিলাম। মেয়েলোকটি বলেন, এই সান্তনাবাণী শুনিয়া
আমার যাবতীয় দুঃখ মুছিয়া গেল। ঐদিকে বদ আখলাক খাদেমগুলো মরিয়া গেল। --------------------------------------------------(ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৯ পৃ)
সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা! উল্লেখিত ঘটনাদ্বয়
পড়ুন আর একটু ভেবে দেখুন, নাবী সাঃ ক্ববরে থেকেও
মানুষের মুসিবত দূর করেন এবং বেয়াদবীর কারণে মানুষ মেরেও ফেলেন। জীবদ্দশায় নবী সাঃ
কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন, দাঁত শহীদ হল, মাথায় হেলমেট ঢুকে গেল। তখনতো নবী সাঃ এভাবে কাফিরদের মেরে ফেলতে পারতেন। কিন্তু তাতো করলেন না।
কিন্তু মরার পরে এ জাতীয় ক্ষমতায় বিশ্বাস তো মাজার ভক্তরা করে থাকে। যা বিবেকেরও পরিপন্থী। মৃতুর পর যে
লোকটারে চারজনে ধরে কবরে রাখতে হল, অতঃপর ক্ববরে রেখে মাটি চাপা দিলে তার সমস্ত
শক্তি এসে যায়। যার সাধারণ জ্ঞান আছে সেও কি এ জাতীয় বিশ্বাস করতে পারে?
=> সাহাবারা কখনো কবর থেকে বিপদের ফায়সালা পেল না, আর সাধারণ খাদেম রা গিয়ে বিপদের কথা বললেই
শুধু গায়েবী আওয়াজ আসে। এই ধরণের আক্বিদাহ একমাত্র সূফীবাদীদেরই হয়ে থাকে। এমদাদউল্ল্যাহ মক্কী, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী সহ উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ মোটামুটি সবাই ছিলেন
সূফীবাদী। তাই তাদেরও দোষ দেওয়া যায় না। কারণ সূফীরা মিথ্যা বলে না, মিথ্যা অটোমেটিক তাদের মুখ
দিয়ে বের হয়।
মাত্র একটা উত্তর দেন, বিপদ থেকে উদ্ধারকারী নবী সাঃ না আল্লাহ?
সূরা ফাতিহা-৪ নং আয়াতে আমরা বলি, আমরা তোমারই ইবাদাত করি, তোমারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি।
কিন্তু এখানে কবরবাসীর নিকট সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। অদৃশ্য বা গায়েবের নিকট কিছু চাইতে হলে সেটা একমাত্র আল্লাহর নিকটই
চাইতে হবে। হ্যা এমনে পৃথিবীতে আমরা মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে পারি। কিন্তু """গায়েবী ভাবে সাহায্য"""একমাত্র আল্লাহর নিকটই
চাইতে হবে। আরো পড়ুন সূরা বাকারাহ-১৬০, আনআম-১৭-১৮, আরাফ-৩৭, ১২৮, ১৯৭।
=> আল্লাহকে বাদ দিয়ে নবীকে বিপদ থেকে রক্ষাকারী, গায়েবী সাহায্যকারী হিসেবে নির্ধারণ করা কি
শিরক? নাকি সওয়াব?
=============================================
কাহিনী নং-৩ শায়েখ আহমেদ বলেন, আমি তের মাস পর্যন্ত ময়দানে, জঙ্গলে ঘুরিতে ফিরিতে থাকি। উহাতে আমার চামড়া
পর্যন্ত খসিয়া যায়। অবশেষে হুজুর ও শায়খাইনের খেদমতে সালাম করিতে যাই। রাত্রি
বেলায় স্বপ্নে হুজুর সাঃ আমাকে বলেন, আহমদ
তুমি আসিয়াছ? আমি বলিলাম, হুজুর আমি আসিয়াছি। আমি বড় ক্ষুদার্ত, আমি হুজুরের মেহমান। হুজুর বলিলেন, দুই হাত খুল। আমি দুই হাত খুলিলে দেরহাম দিয়া
দুইহাত ভরিয়া দিলেন। জাগ্রত হইয়া দেখি আমার হাত দেরহাম দিয়া ভর্তি। আমি উহা দ্বারা
কিছু খাইয়া আবার জঙ্গলে ফিরিয়া আসিলাম।
--------------------------------------------------ফাযায়েলে হজ্জ-২৬২ পৃঃ
ভাইয়েরা, উপরোল্লিখিত
ঘটনা কি এ শিক্ষা দেয়। শিক্ষা দেয় সব জায়গা থেকে ফিরিয়া গেলেও অলী আল্লাহগণের কবর
থেকে ফিরার চান্স চাই। শায়খ আহমদ কাজ কাম না কইরা জঙ্গলে জঙ্গলে মোরাকাবা করে ঘুরে
বেড়াইছে। পরে নবীর কবরে যেয়ে দেরহাম নিয়া আসছে। তাহলে যারা বলে নিচের কথাগুলো
তাদের কি দোষ,
কেউ ফিরে না খালি হাতে, খাজার বাবার দরবার হতে আল্লাহর ধন রাসূলকে দিয়ে, আল্লাহ গেছেন খালি হয়ে রাসূলের ধন খাজারে দিয়ে, রাসুল গেছেন খালি হয়ে রাসূলের ধন খাজায় পেয়ে, লুকিয়েছে আজমীরে কেউ ফিরে না খালি হাতে, খাজা বাবার দরবারে। (নাউজুবিল্লাহ)
ওই কাহিনী যদি ঠিক হয়, তবে এই কবিতার কাহিনীও তো ঠিক। যদি কেউ বলে
আজমীর শরীফে খাজার দরবারে কিছু চাওয়া শিরক, তবে
নবীর রওজায় গিয়েও কিছু চাওয়া শিরক। দলিল প্রমাণ ছাড়া রাসুল সাঃ কে এমন কাহিনী
বর্ণনা করা রাসূল সাঃ এর বিপ্লবী জীবনের উপর একটা মিথ্যারোপ। এই কাহিনী শিখায়
=>কবরবাসী সাহায্য করে => কোথাও কিছু না পেলে ক্ষুদার্থ হলে মাজারে যেতে হবে => কিছু না কিছু পাওয়া যাবেই, সেটা পেলেই দৌড় জঙ্গলে। => জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে ফিরতে হবে, চুলে জট লাগলে ব্যবসা বাম্পার। => কবর থেকেও টাকা পয়সা দেওয়া যায়।
ভাগ্যভাল নবীর সময় ফ্লেক্সীলোড ছিল না। থাকলে
এটা নিয়াও কাহিনী শুরু করত যে নবী তার মোবাইলে ৫০০ রিচার্জ করছে, হের মোবাইলে ১০০০ রিচার্জ
করছে।
মোট কথা কবরের কাছে কিছু চাওয়া যদি শিরক হয়, কবরবাসী সাহায্য কবর থেকে সাহায্য করতে পারে
এমন আক্বিদা রাখা যদি শিরক হয়, তবে নবীর ব্যাপারে এই
কাহিনীগুলোও ষ্পষ্ট শিরক। কারণ কবরে যাব পরকালকে স্মরণ করতে, বিচার দিতে না, ক্ষুদার্থ
জানাতে না। =============================================
পরিশেষে পবিত্র কোরআনের খুবই প্রিয় একটি আয়াত
শেয়ার করছি:-
সূরা যুমার-১৮> যারা মনোনিবেশ সহকারে
কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার
অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথদেখান এবং তারাই বুদ্ধিমান।
অতএব কেউ যদি আল্লাহর নিকট থেকে সৎপথ পেতে চায় এবং আল্লাহর নিকট বুদ্ধিমান হিসেবে বিবেচিত হতে চায় তার উচিত উপরের আয়াত
অনুযায়ী মনোযোগ সহকারে কথা শুনা, আমার কথাও শুনা, তাবলীগের হুজুরদের কথাও
শুনা।
অতপর
যা কোরআন ও হাদিসের সাথে মিলবে অর্থ্যাৎ যেটা উত্তম তার অনুসরণ
করা। আমি বলছি না আমারটা মানতে। উত্তমটা মানা উচিত।
“আম্মাজান
আয়েশা (রাঃ) হুজুরেপাক (সাঃ) এর এরশাদ বর্ণনা করিয়াছেন যে , জিকিরে খফি যাহা ফেরেস্তারাও শুনিতে পায় না , তাহা সত্তর গুণ বর্ধিত হইয়া যায় । কেয়ামতের
দিবস সমস্ত হিসাব নিকাশ যখন শেষ হইয়া যাইবে তখন আল্লাহ পাক বলিবেন , অমুক বান্দার কোন আমল বাঁকী রহিয়াছে কি ? তখন কেরামান কাতেবীন বলিবেন , আমাদের লিখিত সমস্ত আমলই আমরা পেশ করিয়াছি ।
তখন আল্লাহ তায়ালা বলিবেন , আমার নিকট তাহার এমন আমল
রহিয়াছে যাহা তোমাদের জানা নাই । উহা হইল “জিকিরে খফি” অন্য রেওয়ায়েতে আছে , যেই জিকির ফেরেস্তাগণ শুনিতে পায় না উহা
জিকিরে জলির উপর সত্তর গুণ বেশী ফজীলত রাখে” ।
কবি বলিলেন , অর্থাৎ
“প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে এমন সব রহস্য রহিয়াছে যাহা ফেরেস্তাগণও জানিতে পারে না”
(ফাজায়েলে আমাল , ফাজায়েলে জিকির অধ্যায় , ৩০৫পৃঃ)
লক্ষ্য করুন কবিতায় যে প্রেমিক-প্রেমিকার কথা
বলা হয়েছে , তা আল্লাহর শানে ব্যবহৃত
হইতে পারে না , কারন আল্লাহ পুরুষ নন এবং
স্ত্রীও নন । তিনি প্রেমিক /প্রেমিকা হবেন কিভাবে ? আল্লাহর
শানে স্ত্রী বা পুংলিঙ্গ সূচক শব্দ ব্যবহার কি অজ্ঞতা ও বাতিল আক্বীদার বহিঃপ্রকাশ
নয় ? আল্লাহর সঙ্গে বান্দার মুহাব্বাত হতে পারে , কিন্তু ইশক হতে পারে না । কারন ইশকের মধ্যে
পাগলামী আছে যা সৃষ্টি বা মাখলুকের সঙ্গে চলে । খালিক অর্থাৎ স্রষ্টার সাথে ইশক
চলে না ।
অতঃপর আল্লাহ তায়ালা কিরামান কাতিবীন
(সম্মানিত লেখকদ্বয়) সম্পর্কে কুরআন কারীমে বলেছেন :
“আর
অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত রয়েছে । কিরামান কাতিবীন (সম্মানিত
লেখকদ্বয়) ।‘তারা সব জানেন তোমরা যা করছো” । – সূরা ইনফিতার : ১০-১২ ।
আয়াতটি ভাল করে পড়ুন এবং বুঝুন । এখানে
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে , বান্দা যে সব ‘আমল করে
কিরামান কাতিবীন ফেরেস্তাদ্বয় তা সবই জানেন । আর লিখক সনদবিহীন হাদীস আর কবিতা
বর্ণনার ভিত্তিতে বলেছেন ‘জিকিরে খফি’ নাকি ফেরেস্তারা জানে না ।
সূরা কাহাফ আয়াত ৪৯-এ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন
বলেন : “আর তারা বলবে , আফসোস (আমাদের জন্য দুর্ভগ্য) এটা কেমন
আমলনামা এতে ছোট (খফি) বড় কোন গুনাহই লিপিবদ্ধ করা ব্যতীত ছেড়ে দেয়া হয়নি ? যা কিছু তারা করেছে , তার সব কিছুই তারা লিখিত আকারে উপস্থিত পাবে
। আপনার রব , কারো উপর যুলুম করেন না
(করবেন না )”
পড়ুন এবং বুঝুন – বান্দাগণ স্বীকার করবে যে , তাদের আমলনামা ছোট-বড় কিছুই বাদ পড়েনি , সবই তাতে আছে ।
আরও একটি আয়াত দেখুন । সূরা বনী-ইসরাঈল : ১৪
আয়াতে আল্লাহ বলেন : পড় তোমার কিতাব (আমলনামা) । আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্য তুমি
নিজেই যথেষ্ট ।
এই আয়াতের বর্ণনামতে যদি একজন ব্যক্তি তার
আমলনামার ভিত্তিতেই নিজের হিসাব করতে পারে যে সে জান্নাতী নাকি জাহান্নামী । তাহলে
বলুন একজনের কিছু নেক আমল যদি আমলনামার বাহিরে থেকে যায় তাহলে সে কি তার হিসাব
গ্রহণের জন্য যথেষ্ট হবে ?
এখন আপনারাই বলুন , আমরা প্রমাণবিহীন লেখকের কথা বিশ্বাস করবো
নাকি , আল্লাহর বাণী কুরআনের কথা
বিশ্বাস করবো ? এসব কথা লেখার আগে
উল্লিখিত আয়াত গুলোর কথা একবারও কি লেখকের মন পড়েনি ? কিতাবখানি প্রকাশের পর তাবলীগী জামায়াতের কোন
আমীরের নজরে কি তা পড়েনি ? তাহলে একমাত্র এই কিতাব
তারা কেমন পড়া পড়েন ? নাকি গোঁড়ামীর কারণে তা
সংশোধন করতে পারেননি ।
আমি তাদের অনেকের সাথে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা
করেছি । আমার কাছাকাছি থাকা তাবলীগের আমীর – চিল্লা লাগানো আলেমদের সাথেও । তারা
সত্যের কাছে হার মানলেও কেউ সংশোধনে আসেনি । একজন তো বলে ফেললেন আমি হাদীস
অস্বীকার কারী । আমি বললাম , আচ্ছা বুঝলাম আমি হাদীস
অস্বীকারকারী । তাহলে আপনি কি ? পরস্পর বিপরীত দুটি
জিনিসের প্রতি একসাথে বিশ্বাস রাখা যায় না । যেখানে কুরআন এবং হাদীস পরস্পর বিপরীত
কথা বলছে সেখানে দুটিই একসাথে সত্য হতে পারে না । আর এক্ষেত্রে কোরআনকে কোন
মুমিন-মুসলিম বাদ দিতে পারে না । আর যে হাদীস কুরআনের বিপরীত কথা বলে সেটা অবশ্যই
অবশ্যই নবীর হাদীস নয় । যে কারণে লেখক নিজেও এর কোন রেফারেন্স দিতে পারেন নি ।
আল্লাহপাক আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন এবং সত্যকে গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন ।
আমীন!
লেখকের মতে শুধু জিকিরে খফিই আমলনামা থেকে
বাদ পড়ে না বরং আরো বড় নেকীও বাদ পড়ে যায় । যেমন ফাজায়েলে দরুদ অধ্যায়ে তিনি
লিখেছেন – “কেয়ামতের দিবস কোন মুমিন বান্দার নেকী যখন কম হইয়া যাইবে তখন হুজুরে
পাক (সাঃ) আঙ্গুলের মাথা বরাবর একটা কাগজের টুকরা মীজানের পাল্লায় রাখিয়া দিবেন
যার দরুন তাহার নেকীর পাল্লা ভারী হইয়া যাইবে । সেই মুমিন বান্দা বলিয়া উঠিবে আপনি
কে ? আপনার সুরত কতই না সুন্দর । তিনি বলিবেন আমি
হইলাম তোমার নবী এবং ইহা হইল আমার উপর পড়া তোমার দরুদ শরীফ । তোমার প্রয়োজনের সময়
আমি উহা আদায় করিয়া দিলাম । – ফাজায়েলে দরুদ : ৩৪পৃঃ ।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল আল্লাহর সাথে , আর এ ঘটনা ঘটেছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে ।
আমরাতো জানি দরুদ সহ সকল ইবাদাতের সওয়াব
আমলনামায় সংরক্ষিত থাকে । কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পঠিত দরুদ আমলনামায় পাওয়া গেল
না তা পাওয়া গেল রাসূল (সাঃ) এর হাতে । এটা রাসূল (সাঃ) এর হাতে পৌঁছল কি করে ? আমলনামা তো ফেরেস্তা সংরক্ষন করেন , নবী-রাসূলরা নয় । লেখক এবং এর তালিমকারীরা
(পাঠকারীরা) কি বলবেন ? এটাও কি জিকিরে খফি যা
ফেরেস্তাদের কিতাব থেকে লিপিবদ্ধ হওয়া থেকে বাদ পড়ে গেল ? আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি
মুমিন হওয়ার পরও সে নবীকে চিনতে পারেনি । অথচ হাদীস থেকে জানা যায় মুমিনরা কবরেই
সওয়াল-জওয়াবের সময় নবীকে চিনে ফেলবেন ।
অতএব আপনারাই বলুন , তাবলীগের তালিমী বৈঠকে বসে কুরআন এবং সহীহ
হাদীস বিরোধী এই সমস্ত বর্ণনা শুনলে আমাদের ঈমান ভেজাল মুক্ত হবে নাকি ভেজাল যুক্ত
?
উত্তর চাই
১) “ক্ষুধার্থ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে খাদ্যের আবেদন করে ঘুমিয়ে
পড়লেন। সেই অবস্থায় তার নিকট রুটি আসল, ঘুমন্ত
অবস্থায় ঐ ব্যক্তি অর্ধেক রুটি খাওয়ার পর জাগ্রত হয়ে বাকী অর্ধেক রুটি খেলেন।”
ফাযায়েলে হ্জ্জ, পৃ:১৫৫-১৫৬।
# হাদিস
গ্রন্থ পড়েন, জীবিত রাসুল (সাঃ) স্বয়ং
ক্ষুধার তাড়নায় কষ্ট পেয়েছেন। বহু সাহাবী ক্ষুধায় পেটে পাথর চাপা দিয়ে রাখতেন।
উপরের ঘটনা যে পুরা হাদিস বিরোধী! জীবিত রাসুল (সাঃ) কাওকে রুটি দিতে পারলেন না , কবর থেকে তিনি কিনা রুটি দিলেন? রিজিকের মালিক আল্লাহ রুটি দেয়ার মালিক
আল্লাহ; তারা আল্লাহর কাছে না চেয়ে
চাইলো রাসুল (সাঃ) এর কাছে যিনি কিনা কবরে! সমগ্র
দুনিয়ায় এই ঘটনা দ্বিতীয় আর ঘটল না? কেন
ঘটল না? ”তোমরা মানুষকে সৎ কাজের
আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০] আপনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করে যদি তাবলিগ
জামায়াতে টিকতে পারেন আমাদের জানাবেন।
২) জনৈক মহিলা তিন জন খাদেম কর্তৃক মার
খাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে বিচার
প্রার্থনা করলে, আওয়াজ আসল ধৈর্য ধর, ফল পাবে। এর পরেই অত্যাচারী খাদেমগণ মারা
গেল। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৫৯।
# সাহায্য
চাইতে হবে আল্লাহর কাছে। অন্তত দুনিয়ায় জীবিত মানুষ যাদের সাহায্য করার ক্ষমতা আছে
তাদের কাছে সাহায্য চাওয়া যায়। কিন্তু কিতাবের ঘটনায় সাহায্য চাওয়া হলো কবরে রাসুল
(সাঃ) এর কাছে। রাসুলের (সাঃ) কবর থেকে আওয়াজ আসলো? সমগ্র
দুনিয়ায় এই ঘটনা দ্বিতীয় আর ঘটল না? কেন
ঘটল না? ”তোমরা মানুষকে সৎ কাজের
আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০] আপনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করে যদি তাবলিগ
জামায়াতে টিকতে পারেন আমাদের জানাবেন।
৩) অর্থাভাবে বিপন্ন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে হাজির হয়ে সাহায্যের প্রার্থনা
করায় তা কবুল হল। লোকটি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে দেখতে পেল যে, তার হাতে অনেকগুলো দিরহাম। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬২-৬৩।
# রাসুল
(সাঃ) এর কাছে আবু বকর (রাঃ) তাঁর সমস্ত সম্পদ দান করে একেবারে নিস্বঃ হয়ে
গিয়েছিলেন। কই জীবিত রাসুল (সাঃ) কি তাঁকে কিছু দিরহামের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন? জীবিত রাসুল (সাঃ) প্রাণপ্রিয় শশুর সাহাবীর
জন্য পারলেন না কিন্তু ফাজায়েলে কিতাবের অর্থাভাবে বিপন্ন ব্যক্তির জন্য পারলেন।
সমগ্র দুনিয়ায় এই ঘটনা দ্বিতীয় আর ঘটল না? কেন
ঘটল না? ”তোমরা মানুষকে সৎ কাজের
আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০] আপনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করে যদি তাবলিগ
জামায়াতে টিকতে পারেন আমাদের জানাবেন।
৪) মদীনার মসজিদে আযান দেয়া অবস্থায় এক খাদেম
মুয়াজ্জেমকে প্রহার করায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের
পার্শ্বে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করল। প্রার্থনার তিনদিন পরই ঐ খাদেম মরা গেল।
ফাযায়েলে হ্জ্জ, পৃ:১৬২-৬৩।
সমগ্র দুনিয়ায় এই ঘটনা দ্বিতীয় আর ঘটল না? কেন ঘটল না? ”তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ
করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০] আপনি
এই ঘটনার প্রতিবাদ করে যদি তাবলিগ জামায়াতে টিকতে পারেন আমাদের জানাবেন।
৫) জনৈক অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসায় ব্যর্থ
হওয়ায় ঐ ব্যক্তির আত্মীয় (করডোভার এক মন্ত্রী) রোগ্যের আবেদন করে হুজুরের
(সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কবরে পাঠ করার জন্য অসুস্থ ব্যক্তিকে পত্রসহ
মদীনায় প্রেরণ করে। কবরের পার্শ্বে পত্র পাঠ করার পরেই রোগীর আরোগ্য লাভ হয়ে যায়।
ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬৭।
সমগ্র দুনিয়ায় এই ঘটনা দ্বিতীয় আর ঘটল না? কেন ঘটল না? ”তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ
করবে।” [সূরা আলে ইমরান: ১১০] আপনি
এই ঘটার প্রতিবাদ করে যদি তাবলিগ জামায়াতে টিকতে পারেন আমাদের জানাবেন।
৬) কোন ব্যক্তি হুজুরের রওজায় আরজ করায় রওজা
হতে হুজুরের হস্ত মোবারক বের হয়ে আসলে উহা চুম্বন করে সে ধন্য হল। নব্বই হাজার লোক
উহা দেখতে পেল। আবদুল কাদের জিলানীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ:১৫৯।
Maruf Al Berunee Head of Operations at MetaKave Jamalpur IT in Charge at Evergreen Life General Hospital Ltd. skype: maruf_86011 https://alberunee.net https://www.facebook.com/ehsanal.maruf |
Tag :
আত্মকথন,