Popular Post

Posted by : Maruf Al Berunee Saturday, September 28, 2013

মানবজাত আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, আশরাফুল মাখলুকাত। সে স্বনাম ও স্বকর্মে সার্থক হলে স্রষ্টার পরই সে শ্রেষ্ঠ। ফেরেশতারা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে আল্লাহ্কে সিজ্দা করে তার স্বীকৃতি দিতে হয়। এদের নিম্নশ্রেণী মানবজাত। মধ্যম শ্রেণী জাতকজাত। শ্রেষ্ঠ শ্রেণী মহাজাতক। এদের সবার শত্রু জারজরা। এরা আকারে মানুষ। মূলে শয়তান বা ইবলিসের মানস পুত্র। মানুষ জাতির জাতশত্রু ইব্লিস এদের মাতা-পিতার মিলনে অংশিদার হয়ে এদের গর্ভসঞ্চার থেকে, ভূমিষ্ট, খাদ্য, শিক্ষা-দীক্ষা ও জীবনমরণে সঙ্গী। কিন্তু ক্ববর ও হাশরের দিন একজন আরেক জনের শত্রু। স্বামী স্ত্রীর, স্ত্রী স্বামীর, মাতা পিতার, পিতা মাতার, সন্তান পিতামাতার, পিতামাতা সন্তানের ও শাসক শাসিতের এবং শাসিত শাসকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে। পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করে দ্বিগুন শাস্তির জন্য আবেদন জানাবে। আল্লাহ্ বলবেন, “তোমাদের উভয়কেই দ্বিগুন শাস্তিদেয়া হলো"।

رَبَّنَا هَٰؤُلَاءِ أَضَلُّونَا فَآتِهِمْ عَذَابًا ضِعْفًا مِّنَ النَّارِ (সূরা আরাফ-৩৮) 

অপর দিকে জাত, জাতক ও মহাজাতক মানবরা পৃথিবীতে জাত জাতককে অনুসরণ করতে চাইবে, এবং এরা উভয়শ্রেণী মিলে উত্তম মহাজাতক শ্রেণীকে জানমাল সমর্পণকরে তাদের ইমামতে পার্থিব জীবন যাপন করবে। মৃত্যুর পর একে অপরের জানাযা পড়ে দাফন করে তাদের জন্য দোয়া করবে প্রত্যেক সালাত শেষে। রোজ কেয়ামতে এরা পরস্পরকে সালাম করবে تَحِيَّتُهُمْ فِيهَا سَلَامٌ এবং একজন অপর জনের পক্ষে স্বাক্ষ্য দিয়ে মর্যাদা বৃদ্ধির দোয়া করবে। (সূরা ইব্রাহীম-২৩)। স্বংয় আল্লাহ্ ক্বেয়ামতের দিন সালাম জানাবেন তাঁর এ জাত, জাতক ও মহাজাতক বান্দাদের। سَلَامٌ قَوْلًا مِّن رَّبٍّ رَّحِيمٍ (সূরা ইয়াসীন-৫৮) এর বিপরীত মানব জাতের কুলাঙ্গার, জারজদের, আল্লাহ্ হাশরের মাঠেই জাত, জাতক ও মহাজাতক বান্দাদের থেকে পৃথক হতে হুকুম জারী করে বলবেন وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ “তোরা জারজরা পৃথক হয়ে যা" (ইয়াসিন-৫৯) তারপর মানব জাতের এ জারজ শ্রেণীর অপকর্মের চার্জশীট দিবেন আল্লাহ্। (সূরা ইয়াসীন ৬০-৬৭)। তারপর এ জারজ শ্রেণী করজোড় করে কৈফিয়ত পেশ করে আল্লাহর সাথে একটু কথা বলে দয়া ভিক্ষা করতে চাইবে। قَالُوا رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَالِّينَ- رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَالِمُونَ (সূরা মু'মিনুন ১০৬-১০৭)

তদুত্তরে আল্লাহ্ তাদের বলবেন, “তোরা অভিশপ্ত হয়ে এ জাহান্নামেই থাক। আমার সাথে কোনো কথাই বলবিনা।" (সূরা মু'মিনুন-১০৮) তারপর পুনঃ তাঁর জাতক ও মহাজাতক বান্দাদের গুণাবলী তুলে ধরবেন জারজদের সামনে। সে দিন আল্লাহ তাদের বিজয় ঘোষণা করে তাদের পুরষ্কার দিবেন (সুরা মু'মিনূন ১০৯-১১১)। 

Leave a Reply

Subscribe to Posts | Subscribe to Comments

Copyright © Technology Is For Us, We Are Not For Technology!!! - - Designed by Maruf Al Berunee -