Popular Post

Archive for February 2019

এসো হে ঈমানদার মানব মানবী !

By : Maruf Al Berunee
আউযু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজীম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
এসো হে ঈমানদার মানব মানবী ! আমরা এবার থেকে পুনঃ আল্লাহর রহমতের সিয়াম সাধনা করি ! আবার কুরআন নাযিল ও পালনের মাহে রমযান আসছে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
* এ বিজ্ঞপ্তি হচ্ছে সে সমস্ত নর-নারীদের উদ্দেশ্যে,যারা আল্লাহর দাসত্বের অঙ্গিকার পালনার্থে ঈমান ধারণ করে, সালাত কায়েম করে, সিয়াম সাধনা করে, যাকাত পরিশোধ করে এবং হজ্জ পালন করে।
যারা লোক দেখানো সাম্প্রদায়ীক পূজা-পার্বণের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি করে, তাদের জন্য এ লেখা ও তার আবেদন নয়। তারা যে যেরুপ ইচ্ছা ধর্মাচার করুক। তাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্কও নেই, বিবাদও নেই।
* আমি আল্লাহর এমন বান্দা যে, একমাত্র আল্লাহকে তাঁর কিতাব ও রাসূলদের অনুকরণে বিশ্বাস করি, জানি ও মানি। অন্য কাউকে মানি না।
* আমার বিশ্বাসের মানদণ্ডের ভাইবোনদের আবেদন করছি যে, পৃথিবীতে আল্লাহর পর তাঁর সবচেয়ে বড়ো দান শাশ্বত দ্বীন ইসলাম। এর স্তম্ভগুলোঃ ঈমান, সালাত ক্বায়েম, সিয়াম সাধনা, যাকাত আদায় ও হজ্জ পালন করলে মানব সমাজ আল্লাহর রহমতে ভূ-পৃষ্ঠ বেহেশতে রুপান্তর হয়। বর্তমানে বিশ্বে উক্ত কাজগুলো ঈমানহীন অনুষ্ঠানরুপে পালনের ফলে মানবজাতি আজ ধ্বংসের কিনারে।
* ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা আল্লাহর নবীদের প্রদর্শিত দ্বীনকে বিকৃত করে মানুষকে জাতে ধর্মে বহুধা বিভক্ত করেছে। তা না হলে মানবজাতি এক পরিবার রয়ে যেতো।
* সকল নবী রাসূলগণ আল্লাহর দ্বীন পালনে হুবহু একই শরীআ ও একই সালাত, সিয়াম ও হজ্জ পালন করেছেন এবং তাদের অনুসারী সবাই তাদের মতো মুসলিম ছিলো। কেউ ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও মোহামেডান ছিলোনা।
* তাই আল্লাহ তাঁর শেষ নবী সঃ কে বলেছেন, “তুমি কি ওদের দেখেছো যারা আল্লাহর দ্বীনকে বিকৃত করে তাদের সম্প্রদায়কে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে জাহান্নামের কিনারে দাঁড় করিয়েছে? একটু পরেই তারা তাতে পতিত হবে। কতোই না করুণ তাদের পরিণতি! (ইব্রাহীম-২৮-২৯)
* হযরত মূসা ও ঈসা আঃদের শিখানো তাওহীদী কালেমা, সালাত ও সিয়ামকে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা আকার প্রকার সব দিক দিয়ে বিকৃত করে ফেলে অভিশপ্ত হয়। তাই আল্লাহ তাঁর আখেরী নবী সঃ এর মাধ্যমে ঈমানদারদের আল ক্বোরআন ও রাসূল আঃ এর মুখে বার বার নির্দেশ করেছেন, তারা যেন কোনো ব্যাপারেই ইয়াহুদী নাসারাদের বিকৃত ধর্মের কে অনুসরণ না করে। করলে তারাও ওদের মতো হয়ে যাবে। আল্লাহ সকল ঈমানদারদের জন্য সর্বকালে একই ভাবে সিয়াম পালন ও সাধনা করতে বলেছেন। يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ (বাক্বারা-১৮৩) সালাত মানুষকে সামাজিক শৃঙ্খলা ও নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ দেয়। অশ্লীলতা ও পাপাচার থেকে বিরত রাখে। সিয়াম সাধনা মানুষকে তাক্বওয়ার আগুনে পুড়ে খাঁটি সোনা মুত্তাক্বী বানায়।
* মাহে রমজান সঠিক সিয়াম পালনকারীদের জন্য শুধু বরকত ও বরকতের মাস। আর যারা ইয়াহুদী খৃষ্ঠানদের মতো বিকৃতভাবে পালন করে, তাদের জন্য অপচয় ও পাপাচারের দুর্যোগের মাস।
ঈমানদারের জন্য কম খরচে বেশি ইবাদত করে আগামী এগারো মাসের কৃচ্ছতা সাধনার শিক্ষা দেয় মাহে রমজান। আল্লাহর নির্দেশ ও রাসূল সঃ এর আমল অনুযায়ী রোজা পালন করলে রমজান মাসে খরচ অর্ধেক কমে বাজারের দ্রব্যমূল্য কমে যায়।
* ইয়াহুদী –খৃষ্টানদের মতো রোজা রাখলে অন্যান্য মাসের তুলনায় রোজার মাসে খরচ দ্বিগুণ হয়ে যায়। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ে। অফিস আদালতে ঘুষ বাড়ে। হাটে বাজারে উলঙ্গ নারীদের মাংস প্রদর্শন হয় এবং ইফতার পার্টি ও ঈদের পোষাকের প্রতিযোগিতায় খৃষ্টমাচের মতো রোজা ও ঈদ এক পার্বণ হয়ে যায়।
* ইসলামের বিধান মতো রোজা রেখে ইফতার করলে হিসাব করে দেখা যায় যে,বাংলাদেশে এক রমযানের সঞ্চয়ে একটি যমুনা ব্রীজ নির্মাণ করা যায়।
* আল্লাহ ক্বোরআনে নির্দেশ করেছেন, “তোমরা রাত্রি থেকে রাত্রি পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করবে” ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ (বাক্বারা-১৮৭)।
* রাসূল সঃ এর মৃত্যুর পর আরবরা ইয়াহুদী-খৃস্টানদের ন্যায় ইসলামী খেলাফতকে ছিনতাই করে মদিনায় রাসূলের সঃ প্রিয় দশ হাজার সাহাবীকে হত্যা করে, রাসূল সঃ এর রওজা ও মসজিদকে ঘোড়ার আস্তাবল বানায়, হাজার হাজার মুসলিম মেয়েদের ধর্ষন করে, এক হাজার কুমারীকে গর্ভবতী করে এবং কাবা ঘরকে পুড়ে ছাই করে ফেলে। তারপর সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে সালাত, সিয়াম ও হজ্জকে বিকৃত করে। আজ মুসলিম বিশ্বে সে বিকৃত নামাজ-রোজা চালু। ফলে বিশ্বময় আজ মুসলিম জাতির এ দূর্দশা। ইসলামে সরকার প্রধান জুমা ও ঈদের ইমামতি করে। বারো কোটি মুসলমানের বাংলাদেশের খালেদা হাসিনার ইমামতিতে কি জুমা ও ঈদ পালন করা যায়? মেঘাবতীর পেছনে ইন্দোনেশিয়ায় পড়া যায়? বেনজীরের পেছনে পাকিস্থানে পড়া যায়?
* এভাবে স্বৈরশাসকরা তাদের ভাড়া খাটা মোল্লাদের দ্বারা ধর্মীয় কাঠামোকে তসনস করে দেয়। তাই সালাত ও সিয়াম সব আজ নিস্প্রাণ অন্তসারশূণ্য অনুষ্ঠান।
* এখন বিশ্বময় ডাক এসেছে, ইয়াহুদী-খৃষ্টানদের অনুসরণের ধর্মাচার বাদ দিয়ে রাসূল সঃ এর দ্বীন, সমাজ ও রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার। রমজান মাসে ক্বোরআন নাযিল হয়েছে। তাই রমজান থেকেই আমরা কালেমা, সালাত ও সিয়াম দুরস্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি।
* আল ক্বোরআনে আল্লাহ বলেছেন সোবহে সাদেকের পূর্বে সেহরী শেষ করে রাত্রি পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করতে। তদ্রূপ আল ক্বোরআনে ফজর ও মাগরিবকে দিবসের দু’প্রান্ত “তারাফাঁইন নাহার”বলা হয়েছে। এশাকে বলা হয়েছে নিশার প্ররম্ভ বা “যুলাফাম মিনাললাইল”। অর্থাৎ ফজর যেমন রাত নয়, মাগরিবও রাত নয়। এশা শুরূ হলে রাত্রের আগমন ঘটে। তখন ইফতারের সময় হয়। মাগরিবের সময় নয়।
* অভিশপ্ত ইয়াহুদী-খৃষ্টানরা আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে এক এশা আরেক এশা পর্যন্ত অর্থাৎ চব্বিশ ঘন্টা রোজা চালু করে। আখেরী নবী সঃ বলে যান ওদের অনুসরন না করে এশার ওয়াক্ত হতেই ইফতার করতে।
* আরব সাম্রাজ্যবাদীরা আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ অমান্য করে ইসলাম ও ইয়াহুদীবাদ উভয় বাদ দিয়ে একটি তৃতীয় শয়তানী চালু করে। অর্থাৎ শেষ রাত্র থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। রাত পর্যন্ত নয়। ইয়াহুদীরা লম্বা করে ফেলে, ওদের চাচাতো ভাই আরবরা রোজাকে খাটো করে মানব জাতিকে মাহে রমজানের বরকত ও রহমত থেকে বিচ্যুত করে।
* ইফতারীর দোকানদাররা এটাকে লুফে নেয়। কারণ ইফতারের নামে মুসলিম বিশ্বে বাজারে অতিভোজ ও ভোগের জাহান্নাম শুরু হয়। দশ টাকার পেঁয়াজ বিশ টাকা হয়,পাঁচ টাকার বেগুন ষোল টাকা এবং এ হারে লুটের বাজার চালু হয়।
আর যদি ক্বোরআন ও রাসূল সঃ এর নির্দেশ অনুযায়ী ইফতার করা হয়, তা হলে ইসলামী সমাজ আসরের সময় থেকে মাগরিব ও মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত ঘরে ঘরে ক্বোরআন তেলাওয়াত ও শিক্ষার বেহেশ্‌তী সময় পায়। গৃহিণীরা দিবাভাগে রাতের খাবার পাকিয়ে ক্বোরআন শিক্ষায় স্বামী সন্তানদের সাথে শরীক হতে পারে। এশার আযানের পর যখন মানুষ রাতের খাবার খাবে, তখন তার সাথে পেয়াজী, বেগুনী, বুট, ভাজাপোড়া ও অন্যান্য রাক্ষুসে খাওয়া খাবে না। শুধু উপাদেয় সুপাচ্য সুষম খাদ্য খাবে। তাতে গৃহকর্তার অর্ধেক সাশ্রয় হবে। বাড়তি কামাই এর জন্য ঘুষ খেতে হবেনা। গৃহিনীর এতো কিছু পাকাতে গলদঘর্ম হতে হবেনা। এশা পড়ে ঘুমিয়ে আবার মধ্য রাতের পর ঘুম থেকে উঠে তৃপ্তিভরে তাহাজ্জুদ নামাজ ও ক্বোরআন তেলাওয়াত করতে পারবে। এখানে অতি গুরুত্বের সাথে মনে রাখতে হবে যা, ইসলামে “তারাবী” নামের কোন নামাজ নেই। রাসূল সঃ এরূপ কোন সালাতের সংযোজন কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন। (বোখারী-মুসলিম) খলিফা ওমর “বিদ্‌আত” বলে এটাকে চালু করে এ বলে যে, “যারা শেষ রাতে উঠে রমজানে তাহাজ্জুদ পড়বেনা, তারা রাত্রের প্রথমার্ধে হাট বাজারে আড্ডা না দিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে ক্বোরআন শুনুক। তবে এটি একটি বিদ্‌আত”। রাসূল সঃ যা করেন নি, ধর্মে তা করাই বিদ্‌আত। বিদ্‌আত দাঁড় করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু রমজান মাসে মস্‌জিদ কমিটি চাঁদা তোলা ও হাফেজ ভাড়া করে অতিরিক্ত আয়ের ব্যবস্থা করতে এ বিদ্‌আতকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যে, তার চাপে মাহে রমজানে ক্বোরআন বুঝার ফরজই চাপা পড়ে হারিয়ে গেছে। তারাবীর তারাহুড়ায় হাফেজ, ইমাম ও মুসল্লী সবাই ক্বোরআন শুনে বুঝে, ক্বোরআনের গভীরে পৌঁছার সুযোগ চীরতরে হারিয়েছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাই হি রাজিউন।
আল ক্বোরআনে আল্লাহ যেভাবে ফজর ও মাগরিবকে দিবসের দু’আঁচল বলেছেন, রাত নয়, তদরূপ রাসূল সঃ বলেছেন মাগরিব হলো দিবসের বিতির, যেমন এশার পর রাতের বিতির হয়। তাহাবীতে আব্দুল্লাহ ইবন উমর এ হাদীস বর্ণনা করেছে, বিতিরের অধ্যায়ে। এ বর্ণনা যেহেতু ক্বোরআনের সাথে মিল, তাই তা গ্রহণীয়।
যারা মুসলিম উম্মার চরম দুর্দিনে সত্য ও নাজাতের পথ চায়, তাদের সঠিক বুঝের জন্য সিয়াম ও ইফতারের সঠিক সময় ক্বোরআন ও রাসূল সঃ এর শিক্ষা অনুযায়ী দেওয়া হলো। সহজভাবে বুঝার জন্য দিনরাত, দিনের আচল ও রাতের প্রারম্ভ সূচক অত্যন্ত সূক্ষ্ণ নির্দেশক চিত্র তুলে ধরা হলো। যারা বুঝা ও আমলের জন্য আরও জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য আরও জিজ্ঞাসার সুযোগ রয়েছে। তাদের জন্য সঠিক সিয়াম সাধনা, বর্জনীয় ও করণীয় নির্দেশক আরও একটি পোস্টারও ছাপা হয়েছে। আর যারা বিবাদ ও ফিতনা সৃষ্টিতে আগ্রহী, তাদের সাথে বিতর্ক করার সময় ও সুযোগ নেই। তারা রোজ তিনবার ইফতার খেয়ে এক দিনে তিনটি করে রোজা রাখলেও তাতে আমার আপত্তি নেই, তারা যা খুশি করুক। আমি তাদের কেউ নই, তারাও আমার কেউ নয়। তারা গণধর্ম, গণতন্ত্র, গণরোজা, গণইফতার ও গণঈদ যত পারে, তাতে মেতে থাকুক। তাদের আনন্দ উৎসবে আমার ঈর্ষা নেই। কেয়ামতের দিন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের সামনে ফয়সালা হবে। রাসূল সঃ বলেছেন, “তোমরা ঠিক সময়ে ইফতার করবে, ইয়াহুদীদের মত দেরী করবে না”। তাঁর এ আদেশ অবশ্যই ইয়াহুদীদের ২৪ ঘণ্টার উপবাসের বিরুদ্ধে। তদ্রূপ, তা বর্তমানে রমজানের প্রহসনকারী নামধারী মুসলমানদের বিরুদ্ধেও, যারা ইয়াহুদীদের পদাঙ্ক অনুসরণে সিয়ামকে খাটো না করে রাত না হতেই দিনের প্রান্তভাগে সন্ধ্যায় ইফতার করে। ইয়াহুদী খৃষ্টানদের ন্যায় এদেরও সিয়াম হয় না।
এসো হে আল ক্বোরআনের অনুসারী নবী রাসূলদের সিয়াম পালনকারী আল্লাহর দাস দাসীরা! সঠিক সালাত ও সিয়াম পালন করে বিশ্বে পুনঃ মুস্‌লিম উম্মার পুনর্জাগরণের কাফেলায় শরীক হও।
ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ
অতঃপর তোমরা রাত্র পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। (বাকারা-১৮৭)
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ اللَّيْلِ
সালাত কায়েম কর দিবসের দু’আচলে এবং রাতের প্রারম্ভেও। (হুদ-১১৪)
দিবসের দু’ প্রান্তিক আঁচল হলো ফজর ও মাগরিব। রাতের শুরু হয় এশার ওয়াক্ত শুরু হলে। তাকে কুরআনে “যুলাফাম মিনাল লাইল” বলা হয়েছে। মাগরিব দিবসের দ্বিতীয় প্রান্ত, রাত্র নয়। ফজর ও মাগরিবকে আল্লাহ কুরআনে “তারাফাইন নাহার” বলে উল্লেখ করেছেন।

Copyright © Technology Is For Us, We Are Not For Technology!!! - - Designed by Maruf Al Berunee -