Popular Post

Posted by : Maruf Al Berunee Wednesday, April 16, 2014

১. আল্লাহর সাথে শির্কে অপবিত্র আত্মা : -

তাওহীদ বহির্ভূত আল্লাহর সাথে শরীক মানা।আল্লাহর সাথে শরীক সৃষ্টির ফলে বিশ্বের একক মানব পরিবার ভেঙ্গে অসংখ্য জাতিসত্ত্বার জন্ম হয়। বর্ণবাদ, বর্ণ বিভেদ, বর্ণ সংঘাত ও বর্ণ সন্ত্রাস বর্তমান বিশ্ব সন্ত্রাসের বাপ দাদা, জনক-জননী ও রাষ্ট্রীয় গড ফাদার। য়াহুদীবাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদ, খৃষ্টবাদ, সুন্নীবাদ, শিয়াবাদ, আহলে হাদীস বাদ ও কাদয়ানীবাদ প্রভৃতি সব শির্কের আন্ডা বাচ্চা।আল্লাহর বিধানে মানুষ কর্মদোষ-গুণে শুধু মাত্র দু’জাত। বিশ্বাসী জনগোষ্ঠী “আহলে ঈমান” ও “আহলে কিতাব”। অবিশ্বাসীরা “কাফের”। তৃতীয় কোন শ্রেণী নেই। অবিশ্বাসীরা আত্মিক ব্যাভিভারী। বতর্মান বিশ্বে মানুষ বিপন্নের কারণ কর্ণধার অবিশ্বাসী কাফের নেতৃত্ব।

২. বেহায়া বেপর্দা নারী পুরুষ :-

নারী পুরুষের বেপর্দা, বেহায়াপনা। এ ক্ষেত্রে নারী অগ্রগামী।পুরুষ গৌণ। পুরুষ নারীকে উলঙ্গ দেখতে চায় পাশব চিন্তায়। নারী পণ্য ও বণ্য হয়ে উলঙ্গ পুরুষকে দেখায়। পুরুষ উলঙ্গ হয় না। মাতৃ সতীত্বের চার দেয়ালী ডিঙ্গাতেই নারীর আত্ম হনন। আল্লাহ নারীকে ঝিনুকের মোড়কে মুক্তার ক্রোড়ে সুপ্তদীপ্ত শশীরূপে শশীভূষণ করে মহা মূল্যায়ন করেছেন। শয়তান নারীকে পঁচা শামুক ঝিনুকের বর্জ্যে পুরুষ পশুদের মল মুত্র ও বীর্য ত্যাগের ভাগাড়ে পরিণত করেছে। কোথায় তাজ মহলের তাজ? আর আজ কোথায় মাতৃজাতির নাচঘর। সাজঘর ও বিজ্ঞাপন বেশ্যার হাট বাজার?!

৩. স্রষ্টার ইবাদতহীন বাস গৃহ :-

আদম হাওয়ার স্বর্গ থেকে পতনের পর মানবের বাসস্থানই ভূস্বর্গ। স্বর্গ থেকে পতনের পর পুনঃস্বর্গ উপার্জনের পার্থিব সাধনা, ধ্যান ও উপাসনার পারিবারিক কা’বা বাসস্থান। এ কা’বা ভাড়া হলেই নরকের নরক নেমে আসে ধরায়। মন ভাড়ার পর দেহ ব্যবসা, এবং দেহ ভাড়া হতেই বাসস্থান বেশ্যালয়, বেশ্যা বিদ্যালয় ও বেশ্যা পল্লীর মুক্ত বাজার।“ঘরে নাই ভাত-ভাতারে, বাসর নারীর হাট বাজার!” গৃহহীন নর-নারীর বাড়ি ভাড়া ও নারী ভাড়ার নগর সভ্যতাই এইড্‌স/এইচ,আই,ভি “হোটেল ব্রোথেল”।

৪. উত্তম রিযিক উৎপাদনে চাষির ভূমি চাষ :-

চাষের ভুবনে চাষীর ভূমি, উন্নত বীজ ও সৃষ্টি-বৃষ্টির জোয়ার ভাটার তাজা পানি, আল্লাহর দান, চাষীর সম্পদ। যে চাষ করবে না, ভূনি তার নয়। যে স্ত্রীতে সন্তান উৎপন্ন করে না, সে স্ত্রী স্বামীর নয়। স্ত্রী কি ভাড়া দেওয়ার জন্য? তা না হলে ভাড়ার জন্য ভূমি মালিকানা নেই। চাষের চাষী ও ভূমিহীন চাষীই ভূমির মালিক, ভূমির বৈধ সত্ত্বাধিকারী। অনুপস্থিত ভূমির মালিকানা নেই। “ভূমিহীন চাষী” ও “চাষিহীন ভূমি” নরক রাজ্যের রাজা প্রজা। এ জমিদারী ও জোতদারী ভূমি-বেশ্যার ব্যবসা?!

৫. সুদ-দাদনের অর্থ ব্যবস্থা :- 

পণ্য বিনিময়ের মাধ্যম ব্যতিত মুদ্রা ব্যবস্থার বৈধতা নেই। সে মুদ্রা ধাতবই হোক বা কাগুজে। মানব জীবনের অপরিহার্য পণ্য উৎপাদন মানবজাতির স্রষ্টা কর্তৃক আদিষ্ট।নিষ্প্রয়জনীয় বিলাস দ্রব্য উৎপাদন ও বাজারজাত আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ। প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদন করে সহজলভ্য করা যেমন সৃষ্টির সেবা, নিষ্প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদন করা তেমনি সৃষ্টির অমঙ্গল সাধন, পাপ। পণ্য উৎপাদন করে মূল্য বৃদ্ধির জন্য গুদামজাত করা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। পণ্যের বিনিময় ও বিনিয়োগের সুবিধার্থে প্রচলিত মুদ্রা-অর্থকে জমা করে সমাজে মুদ্রা সংকট সৃষ্টি মহা পাপ।স্রষ্টার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার নামান্তর।বর্তমান ব্যাংকিং ব্যবস্থা মুদ্রা গুটিয়ে সুদখোরের সিন্দুকে ঢুকিয়ে মুদ্রা সংকট সৃষ্টি করে সুদের দ্বারা মানব সমাজের রক্ত শোষণ। অর্থ ভাড়ার এই সুদখোরী শুধুমাত্র অর্থ বেশ্যা বৃত্তি নয়, মাতৃ ধর্ষণ। আর যারা এই কাজটি “ইসলামী ব্যাংকিং” এর নামে করছে, তারা কা’বা ঘরের ছাদে মা জননীর সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত। বিশ্ব ব্যাংক ও আই এম এফ এদের Surreptitious পিতা-মাতা।

এ পাঁচ পাপ বর্জনে আমরা আল্লাহর নামে শপথ নিয়ে বায়আত হলাম।

Leave a Reply

Subscribe to Posts | Subscribe to Comments

Copyright © Technology Is For Us, We Are Not For Technology!!! - - Designed by Maruf Al Berunee -