Archive for 2016
USAMAH - HABEEB IBNUL HABEEB | Suppressed History from the Life of Prophet Muhammad
By : Maruf Al BeruneeTechnology is for us, we are not for technology
I was fighting_ Kyokuhsin Karate
By : Maruf Al BeruneeTechnology is for us, we are not for technology
‘খিওকুশিন কারাতে’- সেল্ফ ডিফেন্স
By : Maruf Al Beruneeখালিহাতে আত্মরক্ষা শিখুন, আত্মবিশ্বাসী হোন এবং শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করুন।極真 ‘খিওকুশিন’ কারাতের উৎপত্তিস্থল জাপানে ১৯৬৪ সালে। ‘খিওকুশিন’ এর উচ্চারণ হবে ‘খি-ইয়োক/শিন’ যার মানে হচ্ছে “চূড়ান্ত সত্য বা বাস্তবতা”। ‘খিওকুশিন কারাতে’র প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন ‘মাস ওয়াইমা’ (মৃত) । তিনি অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী কারাতে প্রশিক্ষণ করেন এবং ফাইট করার একটি পদ্ধতি আবিস্কার করেন, যা “সব থেকে শক্তিশালী কারাতে” নামে পরিচিত। আমি কোন ব্ল্যাক বেল্টধারী নই। কিন্তু মার্শাল আর্ট নিয়ে অনেক পড়েছি, আর এখন একজন ‘খিওকুশিন’ স্টুডেন্ট। পাঠক, আমাকে আবার সন্ত্রাসী ভাববেননা। বিডি টুডে’তে/ সামু’তে অনেক ভিজিটর ও ব্লগার আছেন। তাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে ভেবেই লিখলাম। শারীরিক সক্ষমতা অর্জন বলতে, জাঁ ক্লদ ভ্যানডাম বা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার হতে বলছিনা। কিন্তু কিছু ওয়ার্ম আপ এক্সারসাইজ করাটা জরুরী। নইলে হঠাৎ কোন পেশীতে টান পড়তে পারে তাছাড়া স্ট্রেচিং করা থাকলে আপনার উঁচুতে লাথি মারাও সহজ হয়। শরীর ফ্লেক্সিবল হলে দ্রুততাও অর্জন করা যায়। ব্যায়াম করলে কি কি উপকার হয় তা তো সবার জানা। আর বয়স কে একদম পাত্তা দিবেননা! মনটাই আসল। তিন ধরনের মার্শাল আর্ট রয়েছে। Non-contact, Half contact এবং Full contact. Non-contact মার্শাল আর্ট মূলত স্পোর্টস মার্শাল আর্ট। পয়েন্টের ভিত্তিতে খেলা হয়, শরীরের নির্দিষ্ট অংশে টাচ করা যায়, কোন বডি ড্যামেজ হয় না। Half contact মার্শাল আর্ট মূলত মুভিগুলোতে দেখা যায়। আর ‘খিওকুশিন’ হচ্ছে ‘ফুল কন্টাক্ট’ কারাতে। রিয়েল টাইম ফাইট হচ্ছে Full contact মার্শাল আর্ট। এই মার্শাল আর্টের জয়ী নির্বাচন কোন পয়েন্টের ভিত্তিতে হয় না। হয় নক আউটের ভিত্তিতে। যে প্রতিযোগী শেষ পর্যন্ত সারভাইভ করতে পারে সেই জয়ী হয়। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের জন্য কারাতে শেখাটাও জরুরী। ছেলেরা একাই বিপদ মুকাবিলা করবে আর মেয়েরা সারাজীবন মুখ বুঝে সহ্য করে যাবে এমনটা আশা করা ভুল। নারীর প্রতিবাদের নতুন ভাষা হবে ‘খিওকুশিন’ কারাতেঃ আচ্ছা, আমরা কি কেউ ভুলতে পেরেছি গত পহেলা বৈশাখের দুঃসহ ঘটনা? ভোলা কি যায় সেদিন এক ভিড়ের মধ্যে মেলায় আসা মেয়েদের সম্ভ্রমহানির কথা? বিজাতীয় ভুভুজেলা বাজিয়ে কিছু পিশাচ পরিবেশ বানিয়েছিল বিভীষিকাময়। ভুভুজেলার শব্দে মেয়েদের আর্তনাদ পৌঁছুতে পারেনি জনগণের কাছে। তাই পার পেয়ে গিয়েছিল অনেক লম্পটেরা। আশার কথা, এবার ভুভুজেলা এবং মুখোশ সরকার নিজেই নিষিদ্ধ করেছে। তবুও কি পহেলা বৈশাখের ভিড়ে মেয়েরা নিরাপদ? বাংলাদেশের মেয়েদের প্রাত্যহিক জীবন অনিরাপত্তার বেড়াজালে বন্দী। এই অনিরাপত্তাকে একমাত্র জয় করতে পারে মেয়েদের আত্মরক্ষা শিক্ষা। কিন্তু আমাদের দেশে রিয়েল টাইম ফাইটিং শেখানোর জন্য সেরকম প্রতিষ্ঠান খুব একটা নেই। মেয়েদের জন্য তো আরও নেই। গত পহেলা বৈশাখের পৈশাচিক ঘটনার পরপরই একজন ফাইটার চিন্তা করতে থাকেন কিভাবে প্রতিহত করা যায় এই ঘটনাগুলোকে! মেয়েরা যাতে নিজেরাই ঘটনার যোগ্য প্রতিবাদ করতে পারে সেজন্য তিনি মেয়েদেরকে প্রশিক্ষণ দেবার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবেই শুরু হয় KO Fight Studio এর “সেলফ ডিফেন্স” কোর্স। মেয়েদের মার্শাল আর্ট নিয়ে পরিবারের অনেক ভুল ধারণা থাকেঃ মার্শাল আর্ট শিখলে মেয়েদের শরীর শক্ত হয়ে যায়। কিংবা মা হতে সমস্যা হয়! ইত্যাদি। তাই অনেক বাবা মা ভাবে, কি লাভ মেয়েদের মারামারি শিখে! তার চাইতে মেয়ে রান্না শিখুক, সেলাই শিখুক প্রভৃতি! কিন্তু মেয়েদেরও মার্শাল আর্ট শেখা প্রয়োজন। মার্শাল আর্ট শিক্ষার্থীদেরকে একটি শৃঙ্খল জীবন উপহার দেয়। আনুগত্য শেখায়, একে অপরকে সম্মান করতে উৎসাহ প্রদান করে। একজন মার্শাল আর্ট শিক্ষার্থীর স্মোক বা ড্রিঙ্ক করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অনেক কিছুই জানলেন। আর এখন নিশ্চয় জিজ্ঞাসা করবেন যে, শিখবো কোথায়? প্রতিষ্ঠান কোথায়? ‘খিওকুশিন কারাতে’র রিয়েল টাইম ফাইটিং শেখানোর জন্য ঢাকায় উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে KO Fight Studio. সেনসেই (Sensei) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ হোসেইন। KO Fight Studio এর ফাউন্ডার and চিফ ইন্সট্রাক্টর। Kyokushin কারাতে ব্ল্যাক বেল্ট 3rd dan পাওয়া এ লড়াকু বীর বর্তমান সময়ে সবার কাছে এক পরিচিতমুখ। প্রশিক্ষণে শেখানো তার প্রতিটি পাঞ্চ, প্রতিটি কিক শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করে। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়। অবশ্য বংশালের ছোট্ট সেই ছেলেটির আজকের সেনসেই আবদুল্লাহ হয়ে উঠার সংগ্রামটা খুব একটা মসৃণ ছিল না। এই চলার পথে ছিল সব কঠিন থেকে কঠিনতর বাঁধা। চলুন তার ব্যাক্তিগত পরিচয় জেনে নেওয়া নিই। কিভাবে বংশালের ছেলেটি হয়ে উঠল সেনসেই আবদুল্লাহ? সেনসেই আবদুল্লাহর ছেলেবেলা কেটেছে পুরান ঢাকার বংশালে। ১৯৭৭ সালে ২৮শে অক্টোবর জন্ম নিয়েছেন ধানমণ্ডিতে। গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন মেজ। পুরান ঢাকার কাবাব, বিরিয়ানি, বিউটির লাচ্ছি এসব ঘিরেই ছিল তার ছোটবেলা। বংশালে ছিল নিজেদের বিশাল বাড়ি। দাদা ছিলেন রাজনীতিবিদ। বাবা ব্যবসা করতেন। তৎকালীন পুরান ঢাকার ম্যারিস টিউটোরিয়াল নামক এক ইংলিশ মিডিয়ামে কেটেছে তার ছোটবেলার পড়াশুনা। এরপর ঢাকা ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে ও লেভেলস এবং এ লেভেলস সম্পন্ন করেন। এ লেভেলসের পর পড়াশুনা আর চালিয়ে যাননি। তার ফাইটিং জীবন অবশ্য শুরু হয় বেশ ছোট বয়সে। মাত্র ১৩ বছর বয়সী ছেলে শুরু করেছিল মার্শাল আর্ট Training. এখনকার দিনে এটা হয়ত তেমন আশ্চর্যের কথা নয়। কিন্তু তখন সময়টা ছিল ১৯৯০ সাল। সেই বয়সে বাংলাদেশের অন্যতম খলনায়ক ইলিয়াস কোবরার কাছে Hunan কুংফু শিখেন। মায়ানমারে এই Kungfu খুবই জনপ্রিয়। এর অন্য নাম Bando। ঐ Martial সে রকম পেশাদার কিছু ছিল না। ১৯৯৩ সালে সেনসেই আবদুল্লাহ Kyokushin কারাতে শেখেন। Kyokushin হচ্ছে ফুল কন্টাক্ট Karate. এর জন্ম জাপানে। আবদুল্লাহ এই কারাতে শেখার জন্য International Karate Organization এ অংশগ্রহণ করেন। এই সংগঠনের হেডকোয়ার্টার জাপানে। এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের হেডকোয়ার্টার সিংগাপুরে। আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্রাঞ্চে ভর্তি হন। বাংলাদেশের এই সংগঠনে তার ট্রেনিং চলে প্রায় ১৬ বছর । ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত। ২০০৯ এর পর থেকে এখনও সিংগাপুরে ট্রেনিং নিচ্ছেন বিশ্ববিখ্যাত গ্র্যান্ডমাস্টার Peter Chong এর কাছ থেকে। যিনি কিনা এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের kyokushin এর চেয়ারম্যান! সেনসেই হতে ব্ল্যাক বেল্টের থার্ড ‘ডান’ সম্পন্ন করতে হয়। প্রত্যেকটা ‘ডান’ মার্শাল আর্টের একেকটা ডিগ্রী। মোট ১০টা ‘ডান’ সম্পন্ন করলে সে গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে উপাধি পায়। সেনসেই আব্দুল্লাহ বিশ্বের বিভিন্ন ক্যারাতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন! ২০০৩ সালে 1st All Bangladesh Open Full Contact Karate Tournament এবং ২০০৮ সালে 2nd All Bangladesh Open Full Contact Karate Tournament এ চ্যাম্পিয়ন হন। ২০০৪ সালে কুয়েতে Liberation Tournament এ প্রতিযোগিতা করেন। এর আগে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ইরানে অংশ নেন। তাছাড়াও ফিলিপাইন এবং সিংগাপুরের All Asian Tournament এ অংশগ্রহণ করেন সেনসেই আবদুল্লাহ। তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি যিনি পাকিস্তান এবং থাইলান্ডের Full Contact Kyokushin Karate Seminer পরিচালনা করেন। এছাড়াও তিনি কারাতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বিশ্বের সব বড় বড় প্রশিক্ষকের কাছ থেকে। এর মধ্যে Shihan Peter Chong, Shihan Royama, Shihan Yujo Goda, Shihan Jackie Chong, Shihan Inamullah Khan এর নাম উল্লেখ যোগ্য। মেয়েদের প্রতি সেনসেই আবদুল্লাহর আহ্বানঃ মেয়ে, প্রতিবাদ কর! জেনে নাও উপায়গুলো! সত্যি কথা হচ্ছে মার্শাল আর্ট সবাই জানি না। সবাই সেলফ ডিফেন্স কোর্স করেও ফেলেনি। তাহলে আসছে বৈশাখে কিভাবে একটি মেয়ে নিরাপদ থাকতে পারে? কিংবা প্রতিদিন রাস্তায় মেয়েদের সঙ্গে হওয়া শারীরিক হয়রানির প্রতিবাদ কিভাবে মেয়েরা করতে পারে সে বিষয় কিছু টিপস দিয়েছেন আবদুল্লাহ। মেয়েদের প্রতিবাদের ভাষা কেমন হওয়া উচিত? চলুন, টিপসগুলো দেখে নেই? ১) Awareness একটি বড় বিষয়। আপনি যদি জানতে পারেন কোন পরিস্থিতি আপনার জন্য সুবিধাজনক নয়, তাহলে সেই সিচুয়েশনে আপনি যাবেন না। গেলেও alert থাকবেন। ২) সময় অনুযায়ী স্থান এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। দিনের বেলাতেও কোন কোন জায়গা ভীষণ অনিরাপদ, সেসব জায়গা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা মঙ্গলের। এটা ছেলে মেয়ে সবার জন্যই। ৩) আপনার সিক্সথ সেন্স যদি বলে আপনি কোন একটা জায়গায় ফিজিক্যালি হ্যারাজ হতে পারেন, তাহলে দ্রুত সরে যাবেন সেই জায়গা থেকে। ৪) যদি হ্যারাজ হন, একদম সময় না নিয়ে এবং এক মুহূর্ত না ভেবে প্রতিবাদ করুন। React করুন। অত কিছু ভাবতে যাবেন না যে ভিড় বাস বলেই ধাক্কা দিল কিংবা ছেলেরা এরকম একটু করতেই পারে। এসব মাথাতেও আনবেন না। হয়ত কেউ তাকাল, আপনি কথা শুনালেন। অনেকেই বলবে বাড়াবাড়ি করছেন। কিন্তু আপনি বুঝবেন ঐ ব্যক্তির চাহনি শোভনীয় ছিল কিনা! মোটকথা আপনি যখনই বুঝবেন আপনার privacy তে ব্যাঘাত ঘটছে তখনই আপনি প্রতিবাদ করবেন। এই প্রতিবাদটুকু পুনরায় ওদের খারাপ কাজ করতে বাধা দেবে। ৫) Physically প্রতিহত না করতে পারলেও, voice raise করুন। যাতে হয়রানকারি বিব্রত হয় এবং পিছপা হয়। ৬) মেয়েরা সঙ্গে চাবির রিংয়ের সঙ্গে লোহার চেইনের মত রাখতে পারেন। যাতে কিছু হলে ঘুরিয়ে একটা আঘাত করলেন। কিংবা সঙ্গে লাগলেন বড় সেফটি পিন, বড় ক্লিপ, নেইল ফাইলারের মত তীক্ষ্ণ জিনিস। সেনসেই আবদুল্লাহর মতে, একজন সত্যিকারের ফাইটার কখনও চাঁদাবাজি করে না, মাস্তানি করে না। তাই সবসময়ই চাঁদাবাজ কিংবা হয়রানকারীরা প্রচণ্ড ভীতু হয়। প্রতিবাদ করে একবার এদেরকে প্রতিহত করতে পারলে দেখবেন, ধীরে ধীরে নিজের সাহসটা বেড়েই চলেছে। বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগের জন্যঃ KO Fight Studio Road #113/A, House #19-20, Gulshan-2, Dhaka-1212 +880 1924 999 000 N.B. some part of this article has been taken from 'bdyouth'
The easy guide on how to access the Dark Web using Tor
By : Maruf Al Beruneeএকান্ত নিজের জন্য কিছু সময় দরকার সবার
By : Maruf Al Berunee১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ঈসায়ী
ইসলাম ও গনতন্ত্র জান্নাত ও জাহান্নামের পথ
By : Maruf Al Beruneeআল্লাহ সকল সৃষ্টির স্রষ্টা , লালন কর্তা, মেহেরবান ও দয়াময়। ইবলিস শয়তান মানুষের সৃষ্টিলগ্ন থেকে ঘোষিত শত্রু। পৃথিবীময় মানুষে মানুষে মারামরি, কাটাকাটি, হিংসা বিদ্বেষ ও মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টি, সকল শয়তানের কাজ।
“ওয়াল্ আসর ইন্নাল্ ইনসানা লাফি খুসর্।” “যুগের কসম, মানবজাতি নিশ্চিত বিপন্ন।”
বিশ্বময় মানবজাতি আজ ধ্বংসের মুখোমুখি।
*** *** ***
বিশ্বের দরিদ্রতম ঘনবসতিপূর্ন বাংলাদশ শয়তান ও তার সৃষ্ট রাজনৈতিক বাটপারদের “পাতানো খেলে” আজ এক মহা ধ্বংসযজ্ঞের ও মুখোমুখি। কে¦য়ামতের পূর্বে পার্থিব ক্বেয়ামতের দ্বারপ্রান্তে । জন্মের লগ্ন থেকে ভুলের পর ভুলে জাতি জাহান্নামের কিনারে দন্ডায়মান। আর একটি মাত্র ভুল, দুঃস্বপ্নময় পরিনাম ডেকে আনবে।
*** ***
স্রষ্টা ও সৃষ্টির বিধানে কোথাও গনতন্ত্র , ভোটাভুটি বা “অল্পের উপর অধিকাংশের ” নিয়ন্ত্রন বা শাসন নাই, স্রষ্টা এক, সৃষ্টি অসংখ্য। স্রষ্টার বিধানে সৃষ্টি চলে। সৃষ্টির বিধানে নয়। মানবদেহে মাথার ওজন মাত্র দুই তিন কেজি, দেহের ওজন পঞ্চাশ কেজি। দুই কেজি মাথার দ্বারা যদি দেহ নিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে মানুষ সুস্থ। আর যদি পঞ্চাশ কেজি দেহ দ্বারা মাথা চালিত হয়, তাহলে মানুষ উন্মাদ ও পাগল। নরনারীর বিবাহ, একক নর কর্তৃক নারী ও নারী কর্তৃক নরের পছন্দের মাধ্যমে হয়। জনগনের ভোটাভুটিতে হয় না। নারীপুরুষের মিলন ও সন্তানের জন্ম, তাও গনসমাবেশ ও গনভোটে হয়না। পরিবারে মাতাপিতা দু’জন। সন্তান অনেক , সন্তানদের ভোটে পরিবার চলে না। বরং পিতামাতার মধ্যেও একজনের কর্তৃত্ব ও অন্য সকলের আনুগত্বে সংসার “আদর্শ স্বর্গীয় সংসার” হয়।
*** *** *** ***
গনতন্ত্র ও ভোটাভোটি ইবলিস শয়তানের Brain child বা শয়তানী মস্তিষ্কের অবাধ্যতার ফল।
*** *** *** ***
আল্লাহ রাহমান মানুষকে পৃথিবীতে কল্যান ও আখরাতে জান্নাতের দিকে পরিচালিত করে ঈমান ও আমলের দ্বারা। নারী তার পেছনে, “কল্যানীয়া” সহধর্র্মিনী। ইবলিশ শয়তান মানুষকে পৃথিবীতে যৌনবিকৃতি ও পরকাল জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। নারী তার সামনে, “কামসহচরী”, ধর্ম নষ্টকারিনী। আমরা কোন পক্ষে যাব ? আল্লাহর না শয়তানের?
*** *** *** ***
বাংলাদেশ পৃথিবীর দারিদ্রপীড়িত এক অশান্ত জনবহুল ক্ষুদ্রদেশ। এজাতিই আল্লাহর রহমতের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য “পাকিস্তান ” নামের পবিত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু পার্থিব স্বার্থের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মন কষা কষির সময় শয়তান ফাঁকে ঢুকে পড়ে দুই মুসলমান ভাইদের মধ্যে খুনাখুনি আরম্ভ করে দেয়। একদিকে পাঞ্জাবী বিহারী, অপরদিকে বাঙ্গালী। কেউ আর মুসলমান রইল না।আল্লাহ শেষ নবী সঃ বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে এমন এক সময় আসবে যখন তোমরা পরস্পর হত্যায় লিপ্ত হবে। তাতে হত্যাকারী ও নিহতরা জাহান্নামী হবে।” তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো , ইয়া রাসুলুল্লাহ , হত্যাকারী হয়তো হত্যার জন্য জাহান্নাম যাবে, নিহত ব্যক্তি কেন জাহান্নামী হবে? উত্তওে রসুল সঃ বলেছেন, কারণ , নিহত ব্যক্তিও সুযোগ পেলে হত্যাকারীকে হত্যা করতো।”
*** *** *** ***
হত্যাযজ্ঞ ও খুনাখুনি যে জাতি ও রাষ্ট্রের স্রষ্টা , যে জাতি তওবা করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন না করলে “এক মহা হত্যাযজ্ঞের ” মাধ্যমে সে জাতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশ আজ সে ক্রান্তি লগ্নে।” আল্লাহ কোন জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না স জাতি তার অন্তর পরিবর্তন করে।” (আল কোরআনঃ রাদ ১১)
*** *** ***
আল্লাহ তাঁর রহমত দিয়ে নরনারীকে স্বামী স্ত্রী , সন্তান সন্তুতি ভাইবোন ও আত্মীয় স্বজন রুপে এক , ঐক্যবদ্ধ ও মিল মোহাব্বতে সুখে দুঃখে পরস্পরকে বেঁধে মানব সমাজকে “একপরিবারে” রুপান্তরিত করেন। অভিশপ্ত শয়তান স্বামী স্ত্রীতে ফাটল ধরায়। তারপর মানব সন্তানদের একের পর এক রক্তে, বর্ণে,ভাষায়, পেশায় ও ভৌগোলিক সীমায় বিভক্ত কওে রাষ্ট্র, জাতি ও প্রজাতিতে শতধা বিভক্তির পর বিভক্ত করে পরস্পরকে গোষ্ঠীগত কলহ ও দ্বন্দে লিপ্ত করে। শান্তির সমাজ , স্বার্থদ্বন্ধের মানব সমাজের নরকের রুপ নেয়।
*** *** *** ***
وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا “আল্লাহর রশিকে সবে মিলে সর্বশক্তি দিয়ে ধারন করো, কখনো বিভক্ত হয়ো না,” ঈমানদার জনগোষ্ঠীর জন্য আল্লাহর নির্দেশ। এক ঘরে দশ ভাই, সমাজসেবী, চিকিৎসাবিদ, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষক, ধর্মগুরু, ব্যবসায়ী, কর্মচারী, কৃষক ও শ্রমজীবী। এরা প্রত্যেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবারের পরস্পরের সহায়ক হলে পরিবারটি কেমন হয়? আর যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ পেশাভিত্তিক সংগঠনের সদস্য হয়ে স্বীয় স্বার্থের পূজারী হয়ে দ্বন্ধে লিপ্ত হয়, তা হলেই বা পরিবার টি কিরুপ হয়?
প্রথমটি আল্লাহর রহমতের বন্ধনে তৈরী স্বর্গীয় পরিবার। দ্বিতীয়টি শয়তানী বিভক্তির অভিশপ্ত পরিবার।
*** *** ***
বর্তমানের রাজনৈতিক দলসমূহ, ছাত্রদলসমূহ, শিক্ষক সমিতি, মহিলা পরিষদ, চিকিৎসক সমিতি, সরকারী কর্মচারী সমিতি, বেসরকারী কর্মচারী সমিতি, শ্রমিক দল, ইত্যাকার সকল গোষ্ঠী-বিভক্তি, আল্লাহর কসম, শয়তানের নারকীয় নৈরাজ্য, যার নাম বর্তমান রাজনীতি।
এ সকল দলাদলি ও সংঘাত নির্মূল করে মানুষে মানুষে ভাই, নর ও নারীতে “ঘর ও বাহির”, শ্রমিক ও মালিকে পিতা পুত্র, শাসক ও শাসিতে “ইমাম ও মুক্তাদী”, পিতা ও পুত্রে গুরু ও শিষ্য ও সর্বোপরি, বিশ্বের মানব জাতিকে “নেক ও এক” করার “আসমানী সংগ্রাম”ই ঈমান, জিহাদ ও আল্লাহর এবাদত, বেহেশত ও মুক্তির চাবি।
এর বাইরে, সকল মত ও পথ, শয়তান-সৃষ্ট কুফর ও কাফেরীর, “মাথা-গোনা” গনতন্ত্রের । যার পরিণাম, এজন্মে সংঘাত ও “সাফাকুদ্দিমা” বা রক্তক্ষয়ী খুনখারাবী; পরজন্মে জাহান্নাম।
হে মানুষ, কোন্ পথ তোমার, শয়তানের, না “রাহমানের”?
do you believe in soul mate?
By : Maruf Al BeruneeAnd wide eyed companions,
Like hidden pearls.
- The Quran, the Inevitable, 56:22-23
We have made them pure - virginal -
friends - lovers - for the Companions of the Right Side. - 56:36-37
Your partners are your garments and your are their garments.
- The Quran, the Heifer, 2:187
2.
“What you think of soul mate?”
“Do you believe in soul mate?”
Someone asked those questions to me few months back. Do I believe in such concept, I was asked.
I didn’t answer that day because I do not know. I did not know.
Give me freedom to fly without a shadow,
and to love without leaving traces.
- Message of the Golden Sufi
"God has not placed two hearts in the bosom of men." - as says the revelation.
And Allah knows the best, the Exalted, the Bestower of Wisdom.
(to be continued)
courtesy: techofheart.co
জীবন যাপন, ধাপে ধাপে (Step by Step)
By : Maruf Al Beruneeএক ব্যতিক্রম শিক্ষক এবং তার ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান
By : Maruf Al Beruneeদেখে নিন বাংলাদেশেকে নিয়ে তৈরি 3D এনিমেশন শর্টফিল্ম
By : Maruf Al Beruneeবিয়ে আপনার জীবনের সমস্যাগুলোকে অলৌকিকভাবে সমাধান করে দিবে না
By : Maruf Al Beruneeনবী আদর্শের সুসংবাদ ও সাবধান বানী
By : Maruf Al Beruneeবিশ্বের বিশ্বায়ন, অথবা,
বেশ্যায়নের বিশ্বায়ন!
তোমরা কোন পথে যাবে? আল্লাহর পথ, বিশ্বাসের বিশ্বায়নের। ইবলিশ পিশাচের ডাক, বেশ্যায়নের ।
তাওহীদ ত্যাগের ফলে গনতন্ত্রের বেশ্যায়ন ইয়াহুদী-খ্রিস্টান বিশ্ব গ্রাস করে, মুসলিম বিশ্ব গ্রাসে মুখ হা করেছে। মক্কার হজ্জ ওদের অনুমতিতে ওদের সেবাদাসদের কবজায়। আই এম এফ ও বিশ্ব ব্যাংকের মুদ্রার আপপত্নী ও নর্তকীরা মক্কার রাজ প্রাসাদের অতিথি পাখি। ইমেল্ডা, ডায়না, হাসিনা ও খালেদা সেখানে একাকার।
রাম রাজত্ব ও শিব সেনাদের আশীর্বাদী তাবলীগী মেলায় বেশ্যায়নের নেতা-নেত্রীদের “আখেরী মুনাজাত”। বাংলাদেশ কি তাদের আখেরী লক্ষ??
মহাপ্রাচ্য দখলের পর ইরান, আফগান ও পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশের উপর ওদের আখেরী থাবা?? ইং-মার্কিন ও ইয়াহুদী চক্র ধেয়ে আসছে।
আদমের ঘরে মা হাওয়া, ঘরের দুয়ার, ঘরের তালা। সে ঘর আজ খোলা, খোলা তালা ঝুলা। চাবি কার হাতে? যৌন কর্মী, যৌন শিল্পী, সংসদ ভুবনের (?) ভিতর বাইর ও হোটেল- ব্রোথেলে কারা? কাদের লীলাভূমি?
ঈমান ও তাওহীদের বিশ্বায়নের পুনরুথানের সূয্যোদয় হবে বাংলাদেশ থেকে। ইনশাআল্লাহ। কিন্তু উদয়ের গগনে কালো মেঘের বাধা দু’নারী মঞ্চের এইচ আইভি এইডস ব্যাধি। এ বাধা বিদুরনে চাই রিসালাত ভিত্তিক প্রথম শক্তির বিস্ফোরণ। ছাগীর তৃতীয় বাচ্চার তৃতীয় শক্তি নয়। কামাল ও বি, চৌ রা তার দৃষ্টান্ত। দুই ছাগী ও তার বাচ্চাদের খোয়ারস্থ করতে প্রয়োজন পৌরুষ দীপ্ত এক পাঠা শক্তি, ব্যক্তির । ঈমানী পাঠা। পশু পাঠা অবশ্যয় নয়। সুদখোর আরবরা যৌনবিকৃতিতে নি:শেষ। ওদের হারামের উচ্ছিষ্ট চাটা গোলাম আযম, আযিযুল হক ও ফযলুল হকরা পরষ্পর শত্রু হলেও ওদের অভিভাবক শয়তানের নির্দেশে বাংলার ইসলামী যুবশক্তিকে এইচ আইভি, এইডসে এর হাতে ইফতার পার্টী করে বিক্রি করেছে ও করছে। দাড়ি, জোব্বী ও পাগড়ী নিয়ে এ দাইয়ূসরা নারী খোঁপায় আত্নাহুতি দিয়েছে। নেতা কর্মী ও রুকুনদের উকুনসম ছাগীর পশমে পাঠা বলি দিচ্ছে। এ চক্রের মতিয়ার মোল্লা হাসিনার মতিয়া চেৌর নামান্তর।
পাকিস্তানের নরপশু ইয়াহইয়ার আমলেও গোলাম আযম দুটি মন্ত্রীত্বের বিনিময়ে ইসলামী যুবকদের পাঞ্জাবী-বেলুচি পশুদের বিকৃত যৌনতার শিকার করেছিলো। এবার বিশ্বের প্রথম দূর্নীতিপরায়ন ও দারীদ্র্যপীড়িত সরকারের নারী নেত্রীর নরকে নিক্ষেপ করেছে।
অতএব, হে সচেতন ঈমান দীপ্ত ইসলামি আন্দোলনের শাহীন যুবকেরা!
তাবলীগি গাঁজা, লাদেন-সাদ্দামী সন্ত্রাস, জামাতী গনতন্ত্র, শীয়া-সুন্নী হানাহানী ও মুর্খ মোল্লা ওমরী তালেবানীকে তিন ত্বালাক দিয়ে নবী আদর্শে মিল্লাতে ইবরাহীমে শামিল হও। তবেই বুশ-ব্লেয়ার শ্যারণ ত্রয়ের আগ্রাশন রক্ষা পাবে। এরা দাজ্জালের অগ্রসেনা। এদের যারা প্রতিহত করবে, তারাই দাজ্জাল নির্মূল করবে।
বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশে নির্বাচন হলে, সরকার পরিবর্তন হবে। তখন এ দু ছাগীর বাচ্চা আওয়ামীলিগ ও বি এন পি এক হয়ে যাবে। বিপদে পড়বে তোমরা।
দুনিয়া আখেরাতের নিকৃষ্ট জীব ধর্ম ব্যাবসায়ীরা নিশ্চিত জাহান্নামী। এ শাইখুল হাদীস ও নিজামীদের তোমরা রোজ ক্বিয়ামতে দোষারোপ করলে এরা কিন্তু তোমাদের অস্বীকার করবে। মনে রাখবে, এরা কুরআন জানা ক্বোরআন অমান্যকারী, এরা এদের অভিভাবক শয়তানের সাথে সুর মিলিয়ে বলবে
إِنَّ اللَّهَ وَعَدَكُمْ وَعْدَ الْحَقِّ وَوَعَدتُّكُمْ فَأَخْلَفْتُكُمْ ۖ وَمَا كَانَ لِيَ عَلَيْكُم مِّن سُلْطَانٍ إِلَّا أَن دَعَوْتُكُمْ فَاسْتَجَبْتُمْ لِي ۖ فَلَا تَلُومُونِي وَلُومُوا أَنفُسَكُم
আল্লাহ তোমাদের সাথে সঠিক অঙ্গিকার করেছিলেন। আমি তোমাদের সাথে মিথ্যা অঙ্গিকার করেছিলাম। তোমাদের উপর আমার কোন কতৃত্ব ছিলোনা, আমি ডাক দিতেই তোমরা আমার ডাকে সাড়া দিয়েছিলে। অতেএব আমাকে দোষ না দিয়ে তোমরা নিজেদের তিরষ্কার করো। (ইব্রাহীম-২২)
নবী আদর্শের সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী بشير و نذير
গুরাবা
By : Maruf Al Beruneeনষ্ট স্রোতের সয়লাভে যখন দীনের মাঝে বিপর্যয় সৃষ্টি হয় তখন এই গুরাবারা স্রোতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্যের ঝাণ্ডা উঁচুতে তুলে ধরে রাখে। নষ্ট স্রোত এমনই প্রভাবশালী যে মানুষ তাকেই মনে করে মূলধারা। আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসঊদ (রাঃ) বলেছেন, “তোমাদের কি হবে যখন ফিতনা (বিপর্যয়) তোমাদের ঘিরে ধরবে – এমনকি ফিতনার মাঝেই তোমাদের বড়রা বৃদ্ধ হবে, ছোটরা বড় হবে এবং লোকেরা এই ফিতনাগুলোকে মনে করবে সুন্নাহ্। আর যখন ফিতনাগুলোকে পরিবর্তন করা হবে তখন লোকেরা বলবে সুন্নাতকে পরিবর্তন করা হলো।” [সুনান আদ-দারিমী] নস্টস্রোতের ধারক-বাহকগণ তাদের প্রভাব এবং প্রতিপত্তি দিয়ে সত্যকে ধুমায়িত করে রাখে। মানুষ তখন মনে করতে থাকে ওটাই মূলধারা। আর যারা সত্যের অনুসারী তারা হয়ে পড়ে আশ্চর্য প্রজাতির। তাদের আচরণগুলোকেই মনে হয় ডিভিয়েন্ট।
এরা যখন হকের দিকে দাও‘আত দেন তখন বিপর্যয় পন্থীরা বলতে থেকে এগুলোতো নতুন কথা। আমরা আমাদের পূর্বপুরূষদের এরকম বলতে শুনিনি। তারা দীন হিসেবে পালন করে নিজেদের বাপ-দাদার রসম-রেওয়াজ়কে। একে তারা ছাড়তে চায়না। আল্লাহ্ [সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা] বলেন (তর্জমা), “তাদেরকে যখন এই বলে আহ্বান করা হয় যে, ‘এসো আল্লাহ্ যা নাজ়িল করেছেন সেদিকে এবং রসূলের দিকে’, তারা বলে ‘আমাদের জন্য তা-ই যথেষ্ট যা আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের কাছে পেয়েছি’ যদিও তাদের বাপ-দাদারা কিছুই জানতনা এবং সত্পথ প্রাপ্তও ছিলোনা।” [কুরআন, ৫/১০৪]
কিন্তু হকপন্থী গুরাবারা নষ্ট স্রোতের সাথে চলতে অভ্যস্থ নন। তারা স্রোতের গতিকে ঘুরিয়ে দিতে চান তার সোজা সরল পথে। এদেরই একজন সেজন্য বলেছিলেন, “এ বিধান [ইসলাম] ভীরু কাপুরূষের জন্য অবতীর্ণ হয়নি; নফসের দাস ও দুনিয়ার গোলামদের জন্য নাজ়িল হয়নি; বাতাসের বেগে উড়ে চলা খড়-কুটো, পানির স্রোতে ভেসে চলা কীট-পতঙ্গ এবং প্রতি রঙ্গে রঙ্গীন হওয়া রঙ্গীনদের জন্য একে অবতীর্ণ করা হয়নি। এ এমন দুঃসাহসী নর-শার্দুলদের জন্য অবতীর্ণ হয়েছে যারা বাতাসের গতি বদলে দেবার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করে; যারা নদীর তরঙ্গের সাথে লড়তে এবং তার স্রোতধারা ঘুরিয়ে দেবার মতো সত্সাহস রাখে। যারা খোদার রঙকে দুনিয়ার সব রঙের চাইতে বেশী ভালবাসে এবং সে রঙ্গেই যারা গোটা দুনিয়াকে রাঙ্গিয়ে তুলবার দৃঢ় আগ্রহ পোষণ করে। যে ব্যক্তি মুসলমান তাকে নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়ার জন্য পয়দা করা হয়নি। তার সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হলো জীবন নদীকে তার ঈমান ও প্রত্যয় নির্দেশিত সোজা ও সরল পথে চালিত করা। যদি সেই সোজা পথ থেকে নদী তার স্রোত ফিরিয়ে নেয়, আর সেই পরিবর্তিত স্রোতধারায়ই কেউ ভেসে চলতে সম্মত হয়, তো এমন ব্যক্তির ইসলামের দাবী একেবারেই মিথ্যা। বস্তুত যে ব্যক্তি সাচ্চা মুসলমান, সে এই ভ্রান্তমূখী স্রোতের সাথে লড়াই করবে, তার গতি ঘুরিয়ে দেবার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগের চেষ্টা করবে – সাফল্য ও ব্যর্থতার কোন পরোয়াই সে করবেনা। এ লড়াইয়ের যে কোন সম্ভাব্য ক্ষতিই সে বরণ করে নেবে। এমনকি নদীর স্রোতের সাথে লড়াই করতে করতে তার বাহু যদি ভেঙ্গেও যায়, কিংবা শক্তি শিথিল হয়ে পড়ে এবং পানির তরঙ্গাঘাত তাকে আধমরা করে কোন তীরের দিকে ছুঁড়ে ফেলেও দেয়, তবুও তার আত্মা কখনো পরাজয় বরণ করবেনা। তার হৃদয়ে এই বাহ্যিক ব্যর্থতার জন্য এক মুহুর্তের তরেও কোন অনুতাপ জাগবেনা, কিংবা নদীর স্রোতে ভেসে চলা কাফির ও মুনাফিকদের সাফল্যের জন্য ঈর্ষার ভাবধারা প্রশ্রয় পাবেনা।” [সাইয়েদ আবুল ‘আলা আল-মওদূদী, ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার দ্বন্দ্ব (৫ম সংস্করণ, ১৯৯৩), পৃঃ ২০৩-২০৪, শতদল প্রকাশনী, ঢাকা।]
মানবেতিহাসের সর্বপর্যায়ে এ গুরাবারা সক্রিয় ছিলেন। অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সাহসী সংগ্রামে কখনো পিছপা হননি এরা, যদিও বাহ্যিকভাবে এদের অনেককেই অসত্যের সৈনিকরা দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে, কিন্তু তাদের আত্মা কখনো পরাজয় বরণ করেনি। আল্লাহ্ তা‘আলা তার কিতাবে এদের সম্পর্কে বলেছেন, “এমন কত নবী ছিলেন যাদের সাথী হয়ে অসংখ্য আল্লাহগত প্রাণ [অসত্যের বিরুদ্ধে] লড়াই করেছেন। আল্লাহ্র পথে যে মুসীবতের মুখোমুখি তাঁরা হয়েছিলেন তা তাঁদের ভগ্নহৃদয় করতে পারেনি, তাঁদেরকে দমিয়ে দেয়া যায়নি, আর তাঁরা তাঁদের সংগ্রাম ছেড়েও দেননি। আর আল্লাহ্তো তাদেরকে ভালবাসেন যারা তার পথে দৃঢ় ও অবিচল থাকেন। তাঁরাতো শুধু বলেছেনঃ আমাদের প্রভূ আমাদের গুনাহগুলো মাফ করো আর আমাদের আচরণের বাড়াবাড়িগুলোও; আমাদের কদমগুলোকে মজবুত করে দাও, আর সত্য অস্বীকারকারীদের মুকাবিলায় আমাদের তুমি সাহায্য করো।” [কুরআন, ৩/১৪৬-১৪৭]
সমাজের সাথে মানিয়ে চলা ......
(গুরাবা)
জাহেলিয়্যাত এবং পাপ পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত একটা সমাজে কোন মানুষ যখন বুঝতে পারে তার একদিন মরতে হবে, বিচারের মাঠে প্রত্যেকটা বাজে কথা, কুদৃষ্টি আর গীবতের জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে - তখন সে আস্তে আস্তে পরিবর্তিত হতে থাকে।
কিন্তু তখন সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সমাজ। তারা সাহায্য তো দূরে থাক, বরং নানা ধরনের মানসিক চাপ সৃষ্টি করে তাকে বাঁধা দেয়।
ছেলে দাঁড়ি রাখতে চাইলে তখন তাকে বলা হয় - দাঁড়িই কি সব? আরো তো কত খারাপ কাজ করিস?
মেয়ে হিজাব পড়তে চাইলে বলা হয় - কেন তুই কি এখন খারাপ আছিস? আমরা কি সব নষ্ট মেয়ে? মনের পর্দাই প্রকৃত পর্দা।
বন্ধুদের সাথে বাজে আড্ডাতে যোগ না দিলে, লজ্জা পেলে - তাকে অতীত নিয়ে খোটা দেয়া হয়। বলা হয় - খুব হুজুর হইছো না? এই তোমরাই তলে তলে সবচেয়ে বড় শয়তান।
কাজিনদের সাথে আড্ডা মারা অপছন্দ করলে, গায়ে হলুদ, বিয়েতে নাচানাচি, ঢলাঢলি পছন্দ না করলে --- তাকে তখন সামাজিকতার কথা বলা হয়, মানিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়।
সামাজিক সবকিছুতে তাকে মানিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু তার জন্য কেউ মানিয়ে নেয় না।
কেউ তার জন্য লাউড স্পিকারে মিউজিক শোনা বন্ধ করবে না। এটা বুঝেও যে - এটা হারাম কাজ আর ইসলাম প্রাকটিস করতে চাওয়া একটা মানুষের জন্য এটা কষ্টকর।
বন্ধুরা তার সামনে সিগারেট খাওয়া কিংবা ছেলেমেয়ে নিয়ে বাজে কথা বলা বন্ধ করবে না। ইচ্ছা করেই হয়তো আরো বেশি করবে।
সে যদি তখন রিঅ্যাক্ট করে, তখন সেটা হবে অহংকার। সে যদি তখন লজ্জাতে চুপ করে থাকে, তবে সেটা হবে দুর্বলতা।
এই সমাজটা ধীরে ধীরে তার কাছে বিষময় হয়ে যায়। মানুষের সাথে মুখে হাসি নিয়ে কথা বলা ছেলেটা আস্তে আস্তে অসামাজিক হয়ে যায়।
একটা মানসিক দ্বন্দের মাঝে বসবাস করা ছেলেটা একসময় তার পরিচয় খুঁজে পায়। তার পরিচয় সে অপরিচিত, সে ভিন্ন।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
" ইসলামের শুরু হয়েছে যখন তা ছিল গারীব (আগন্তুক, অচেনা, অদ্ভুত, অপরিচিত) অবস্থায়।। এটা আবার ফিরে যাবে সে গারীব অবস্থায়। আর সুসংবাদ হচ্ছে গুরাবাদের (অচেনা, অদ্ভুত, অপরিচিতদের) জন্য।" [মুসলিম]
গুরাবাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মত কোন স্যাক্রিফাইস এখনও আমরা করি নাই, এখনো হয়তো যেদিকে স্রোত সেদিকেই আমাদের ঝোঁক বেশি। তবুও আল্লাহর কাছে দুয়া করি আল্লাহ তা'আলা যেন - আমাদের গুরাবাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মত তাওফিক দান করেন। আর আমাদের ভুল, ত্রুটি, সীমাবদ্ধতাকে মাফ করেন।
#গুরাবা
#অসামাজিক
#অদ্ভুত
স্বপ্নগুলো বড় বলে কি মুছে ফেলতে হবে?
By : Maruf Al Beruneeভূমিকম্প!!!
By : Maruf Al Beruneeভূমিকম্প থেকে বাঁচার আসল রাস্তা বাদ দিয়ে আমরা খুঁজছি মেকি রাস্তা। ঈমান আমালের উন্নতি, গুনাহ ছেড়ে দেয়া, আল্লাহর অনুগত দাসে পরিণত হওয়া ইত্যাদি আসল কাজ বাদ দিয়ে আমরা গবেষণা করছি কীভাবে খাটের নিচে বসে থাকবো, কীভাবে ঘরবাড়ি বানালে বেঁচে থাকবো আরও কতো আকাশ কুসুম চিন্তায় মগ্ন আমরা। অথচ মহান আল্লাহর এই আযাব থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল নিজের সমস্ত ইচ্ছাকে, সমস্ত কাজকর্মকে মহান আল্লাহর হুকুমের সামনে অবনত করে দেয়া।
"তারা কি লক্ষ্য করে না, প্রতি বছর তারা দু'একবার বিপর্যস্ত হচ্ছে? এরপরও তারা তাওবাহ
করে না, কিংবা উপদেশ গ্রহণ করে না।" [সূরা তাওবাহ : ১২৬]
"তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।" [সূরা আশ শুরাঃ ৩০]
“স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান,যাতে তারা ফিরে আসে। (আর রুমঃ ৪১)
"বড় শাস্তির পূর্বে আমি অবশ্যই তাদেরকে ছোট শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাব, যাতে তারা ফিরে আসে।" [সুরা সাজদা:২১]
তারপরও কি আমরা তাওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসবো না? আর কতো অবাধ্য হবো?
Predicting The Future Since 1994: The Illuminati Card Game
By : Maruf Al BeruneeThe disturbing trend of these 1994 Illuminati Card Game threatens to predict a dystopian future for its players…